গবেষকদের মতে, বয়স্ক মানুষজনের মধ্যে এই প্রবণতা অপেক্ষাকৃত কম। এক্ষেত্রে ২৫-৩৪ বছরের বয়সসীমার মধ্যে ২৭ শতাংশ খুব একটা চিন্তা-ভাবনা না করেই অ্যাপে মাইক্রোফোন বা ক্যামেরার অ্যাক্সেস দিয়ে ফেলেন। কিন্তু ৫৫ বছর ও তার উর্ধ্বে প্রায় ৩৮ শতাংশ মানুষজন অ্যাপ বা এই ধরনের পরিষেবার ক্ষেত্রে খুব সহজে মাইক্রোফোন, ক্যামেরা বা অন্যান্য টুলে অ্যাক্সেস দেন না। এই বিষয়ে Kaspersky-এর কনজিউমার প্রোডাক্ট মার্কেটিংয়ের হেড মারিনা টিটোভা (Marina Titova) জানান, আগের থেকে অনেকটাই সচেতনতা বেড়েছে। বর্তমানে ব্যবহারকারীরা অ্যাপে কোনও রকম অ্যাক্সেস দেওয়ার আগে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করেন। তাই আগের তুলনায় ধীরে ধীরে এই সাইবার প্রতারণার হার কমছে।
advertisement
বলা বাহুল্য, এক্ষেত্রে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। তা বলে বর্তমানের নানা স্মার্ট অ্যাপ থেকে দূরে থাকাটাও খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। এই পরিস্থিতিতে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। অ্যাপগুলির ফিচার, ক্যাটাগরি ও তাদের পরিষেবা সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। কোন অ্যাপ ঠিক কী ধরনের অনুমতি চাইছে, সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে। ধরা যাক কোনও ভিডিও কলিং অ্যাপ ক্যামেরা পারমিশন চাইছে, তাহলে তা যুক্তিসঙ্গত। এক্ষেত্রে খুব একটা ভাবার কোনও জায়গা নেই। যদি কোনও আলাদা ধরনের ই-মার্কেটিং, পেমেন্ট বা একদম অন্য ধরনের অ্যাপ ক্যামেরা বা মাইক্রোফোনের পারমিশন চায়, তাহলে বিষয়টি সম্পর্কে একটু সচেতন হতে হবে। এর পিছনে ঠিক কী যুক্তি রয়েছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। এক কথায় বলতে গেলে, সমস্ত দিক বুঝে-শুনে এই ধরনের অ্যাপে ক্যামেরা বা মাইক্রোফোন অ্যাক্সেসের অনুমতি দিতে হবে।
নিতান্তই যদি পারমিশন দিতে হয়, তাহলে কয়েকটি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ওয়েব ক্যাম ব্যবহারের সময়ে একটু নজর দিতে হবে। এই বিষয়ে Kaspersky-এর পরামর্শ, প্রয়োজনে ওয়েব ক্যাম কভার ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে যখন এই ধরনের টুল ব্যবহৃত হচ্ছে না, তখন কিছুটা হলেও সুরক্ষিত থাকা যায়। এই কভারের অ্যাডভান্স প্রোটেকশন ফিচার ডিভাইজের একাধিক জিনিস সুরক্ষিত রাখে। উল্লেখ্য PC, Mac, অ্যান্ড্রয়েড, iOS-সহ প্রতিটি ডিভাইজে সমান কার্যকরী এই সিকিওরিটি কভার।
