এমন পদবী দেখে অনেকে ভাবছেন, তিনি হয়তো বাঙালি। তা হলে কি এক বাঙালি কোচের হাত ধরে মেয়েদের ক্রিকেটে এমন সাফল্যের জোয়ার এল! না, তিনি বাঙালি নন। অমল মুজুমদার আসলে মারাঠি। তিনি আদ্যপান্ত মহারাষ্ট্রের মানুষ। আসলে মারাঠিদের মধ্যে মুজুমদার পদবী থাকে। আর সেটা বাঙালির মজুমদার পদবীর থেরে পুরোপুরি আলাদা।
নিজে কখনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অবশ্য তিনি দাপিয়েছেন। আর কোচ হওয়ার পর তাঁর সাফল্য আকাশছোঁয়া। তাঁর কোচিং-এ ভারতের মেয়েরা বিশ্বকাপ জিতল। ক্রিকেটার অমলের হয়তো সব আক্ষেপ এতদিনে দূর হয়েছে। কারণ জীবনের সেকেন্ড ইনিংসে নতুন ভূমিকায় তিনি সফল।
advertisement
আরও পড়ুন- রোহিতের চোখে জল, মনে পড়ে গেল ২০২৪! আবেগ-উচ্ছ্বাস বাঁধ মানল না হিটম্যানের
অনেকেই একটা ঘটনার কথা জানেন না। ১৯৮৮ সালে মুম্বইয়ের হ্যারিস শিল্ড আন্তঃস্কুল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে সচিন তেন্ডুলকর এবং বিনোদ কাম্বলি শারদাশ্রম বিদ্যালয়-এর হয়ে সেন্ট জেভিয়ার্স-এর বিপক্ষে খেলেছিলেন। তাঁরা দুজন মিলে ৬৬৪ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন, যা তখনকার সব রেকর্ড ভেঙে দেয়।
অন্যদিকে, মাত্র ১৩ বছর বয়সী আমোল মুজুমদার সেদিন ব্যাট করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। দলের প্রথম উইকেট পড়ার পরই তিনি নামার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু সচিন ও কাম্বলির আধিপত্য এতটাই ছিল যে আর কোনও উইকেট পড়েনি। দল যখন ৭৪৮/২ রানে পৌঁছে যায়, তখন ইনিংস ঘোষণা করা হয়। আর মুজুমদার, যিনি সারা দিন প্যাড পরে অপেক্ষা করছিলেন, ব্যাট করার সুযোগই পাননি সেদিন।
অমোল মুজুমদার পরবর্তীতে এক অসাধারণ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কেরিয়ার গড়েন। রনজি ট্রফিতে ১১,০০০ রানেরও বেশি সংগ্রহ করেন। তিনি ভারতের অন্যতম সফল ঘরোয়া ক্রিকেটার, যিনি কখনওই জাতীয় দলে (টেস্টে) সুযোগ পাননি।
