দিন কয়েক আগেই সিএবি প্রেসিডেন্ট ডালমিয়া জানিয়েছিলেন, ' ক্রিকেটারদের ফিটনেসের জন্য অনলাইন ট্রেনিং শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই লক্ষণ অনলাইন ক্লাস নেবেন। গত মরশুমে ক্রিকেটারদের ব্যাটিং ভিডিও লক্ষণের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেক ক্রিকেটারের ব্যাটিংয়ের ভুলত্রুটি বিশ্লেষণ করে অনলাইন ক্লাসে যোগ দেবেন লক্ষণ।' সেইমতো সোমবার থেকে লক্ষণের ভিশন ক্লাস শুরু হল। দুই ক্রিকেটারকে আলাদা দুটি বিষয় নিয়ে বোঝান লক্ষণ। অভিষেক রমনের ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন কোচ অরুণলাল, দলের অপারেশনাল ম্যানেজার জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। রমনকে বোঝানো হয় তাঁর মাইন্ডসেট নিয়ে। শেষ মরশুমে দেখা যায় ওপেনার অভিষেক রহম ভাল শুরু করে বারবার আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরছেন। মরশুমের শুরুতে ছন্দে থাকা রমন, মাঝ মরশুমে অফ ফর্মে চলে যান। দল থেকে বাদ পড়তে হয়। লক্ষণ এদিন বোঝান কী করে ভাল শুরু করার পর সেটাকে বড় রানের দিকে নিয়ে যেতে হয়। কী করে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। বোলিং সহায়ক পিচে প্রথম একঘণ্টা কীরকম ব্যাট করা উচিত। শট নির্বাচনের ক্ষেত্রে মানসিক চিন্তা ভাবনা কী হওয়া উচিত, সেই নিয়েও আলোচনা করা হয় এদিন। অরুণলাল, জয়দীপও তাঁদের মতামত দেন।
advertisement
কাজী জুনেইদ সাইফির ক্লাসে হাজির ছিলেন অনূর্ধ্ব ২৩ দলের কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী। গত মরসুমে বেশিরভাগ সময় কাজীকে দেখেছেন সৌরাশিস। কাজির ভুলত্রুটি নিয়েও লক্ষণের ক্লাসে আলোচনা হয়। কাজীর ক্ষেত্রে বিষয় ছিল আলাদা। কী করে পজিটিভ মানসিকতায় খেলতে হবে। অনূর্ধ্ব ২৩ থেকে সিনিয়র দলে যাওয়ার পর মানসিকভাবে কী পরিবর্তন করা উচিত। ব্যর্থতার সঙ্গে নিজেকে কীভাবে লড়াই করতে হবে, মানসিক দৃঢ়তা কীভাবে বাড়ানো উচিত... এইসব বিষয় নিয়ে লক্ষণ বুঝিয়ে দেন। দুই ক্রিকেটারকে দুটি সেশনে হায়দরাবাদ থেকে অনলাইনে ক্লাস নেন লক্ষণ। মঙ্গলবার আরও কয়েকজন ক্রিকেটার উপস্থিত থাকবেন। এইভাবে ক্লাস চলতে থাকবে। জয়দীপ মুখোপাধ্যায় জানান, 'লকডাউনে ক্রিকেটারদের চাঙ্গা রাখতে সিএবি এই উদ্যোগ নিয়েছে। দারুণ উদ্যোগ। লকডাউন উঠলেই ভিশন ক্যাম্প করতে কলকাতায় আসবেন লক্ষণ।'
লকডাউনে বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ। তাই এই সময়টা লক্ষণের ক্লাস করতে পেরে উচ্ছ্বসিত ক্রিকেটাররাও। ক্লাব ক্রিকেট মরশুম আদৌ শেষ হবে কিনা কেউ জানেন না। তাই এখন থেকে নতুন মরশুমের প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছেন ক্রিকেটাররা।
ERON ROY BURMAN