'কাপুরুষ আর গুন্ডাদের দেশ'
হামলার তথ্য দিতে গিয়ে ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী রেহাম খান বলেছেন, 'আমি আমার ভাগ্নের বিয়ে থেকে ফিরছিলাম। তখনই বাইকে করে আসা দুজন প্রথমে আমার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে বন্দুকের মুখেগাড়ি থামানো হয়। অন্য গাড়িতে করে বাড়িতে ফিরেছিলাম। এটাই কি ইমরান খানের নয়া পাকিস্তান? কাপুরুষ, গুন্ডা ও লোভী মানুষের দেশে সবাইকে স্বাগত।
advertisement
আরও পড়ুন- মহম্মদ হাফিজ অবসরের পরেই পিসিবি-র বিরুদ্ধে ফাটালেন বোমা
‘দেশের জন্য বুলেট খেতে প্রস্তুত’
ঘটনাটি নিয়ে ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী একাধিক টুইট করেছেন এবং প্রতিটি টুইটে ইমরান খানের সরকারকে নিশানা করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'আমি একজন সাধারণ নাগরিকের মতো পাকিস্তানে বাঁচতে এবং মরতে চাই। আমার উপর কাপুরুষোচিত হামলা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পাকিস্তান সরকারকে তার দায় নিতে হবে। আমি আমার দেশের জন্য বুলেট খেতে প্রস্তুত।
এফআইআর করতে হিমশিম খেতে হয়েছে
রেহাম খান অভিযোগ করেছেন, এফআইআর নথিভুক্ত করতে তাঁকে হিমশিম খেতে হয়েছে। তিনি বলেছেন, সকাল নটা পর্যন্ত এফআইর নেয়নি। আমার কর্মীরা তখনও এক মিনিটের জন্যও ঘুমাতে পারেনি। তারা শামস কলোনি থানায় বসে আছে এবং পুলিশ এফআইআর নথিভুক্ত করতে রাজি নয়। আমি এফআইআর-এর কপির জন্য অপেক্ষা করছি। এই কঠিন সময়ে আমাকে সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ। আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না'। যদিও পরে তিনি টুইট করেন, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত পুলিশ এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন- করোনায় আক্রান্ত প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লা
'নয়া পাকিস্তান'-এর প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবতা
২০১৮ সালে ইমরান খান যখন ক্ষমতায় আসেন, তিনি নয়া পাকিস্তানের স্লোগান দিয়েছিলেন। পাকিস্তানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। অথচ বাস্তবে তাঁর শাসনে শুধু মুদ্রাস্ফীতি ও দুর্নীতি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার ২৩%- র কাছাকাছি পৌঁছেছে। তিন বছরে তিনি প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছেন। এর আগে কোনো সরকার যা নেয়নি। গত মাসে পাকিস্তানকে দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছে সৌদি আরব।