চোখে মুখে আনন্দের ঝলক। প্রত্যেক ক্রিকেটার নিজেদের পছন্দের ফ্লেভার উপভোগ করবেন। ২০০০, ২০০৮, ২০১২, ২০১৮ সালের পর ২০২২। অনূর্ধ্ব উনিশে আবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ান ভারত। অবশ্য যে ছন্দে ছিল ভারতীয় দল, তাতে ফাইনালে তাদের ইংল্যান্ড আটকাতে পারবে এমন সম্ভাবনা খুব কম ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হল। টস হেরে ফিল্ডিং করতে হলেও চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। এই নিয়ে পাঁচবার। বিরাট কোহলি, কাইফ, উন্মুক্ত চাঁদ, পৃথ্বীদের সঙ্গে এবার একসঙ্গে উচ্চারিত হবে তার নাম। ইয়াশ ধুল।
advertisement
দিল্লি থেকে তিন নম্বর অধিনায়ক যিনি ভারতকে বিশ্বসেরা করলেন। চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে নেওয়ার আগে ইয়াশ বললেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে ভারত আশাবাদী ছিল। মাসখানেক আগে এশিয়া কাপ জয়ের পর থেকে আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে যায়। তারপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এসে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেও জয় পায় ভারত। কিন্তু মাঝে ছন্দ পতন হয় করোনার জন্য। ওই সময়টা কঠিন ছিল দলের কাছে। রিজার্ভ বেঞ্চ বলে কিছু ছিল না।
এই সময়টা ভিভিএস লক্ষ্মণ থেকে শুরু করে ঋষিকেশ কানিতকার প্রত্যেকে খুব সাহায্য করেছিলেন। ভিডিও সেশন করে আত্মবিশ্বাস বজায় রাখতেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল জয়ের পর আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। ফাইনালে টস হারার পরেও খুব একটা চাপে ছিল না দল। নিজেদের ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার নিয়ে লড়াই করতে হবে তাদের। এই চ্যাম্পিয়নশীপ ট্রফি দেশবাসীর জন্য।
ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে নারাজ ইয়াশ। পরিষ্কার জানিয়েছেন শুধু মন দিয়ে ক্রিকেট খেলে যেতে চান। সিনিয়র দলে খেলা অবশ্যই স্বপ্ন। কিন্তু ওসব নিয়ে ভাবতে রাজি নন। শুধু ডুবে থাকতে চান ক্রিকেটে। অতীতে অনেক ক্রিকেটার অনূর্ধ্ব উনিশ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। তাই সতর্ক ইয়াশ। উচ্ছ্বাসে গা ভাসাতে রাজি নন।