#দুবাই: টস জিতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ যে বল করার সিদ্ধান্ত নেবেন তাতে আশ্চর্যের কিছু ছিল না। সেটাই নিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। ম্যাচের কয়েক ঘন্টা আগে পরিস্কার হয়ে যায় জ্বরের কারণে বাইরে বসতে হবে না রিজওয়ান এবং শোয়েব মালিককে। কথায় বলে ভাগ্য সাহসীদের সহায় হয়। এই পাকিস্তান দলটার ক্ষেত্রে কথাটা খেটে যায়। পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তান তুলল ৪৭/০। বাবর দেখার মত কয়েকটা বাউন্ডারি মারলেন। রিজওয়ান হাজেলউডকে মিড উইকেট দিয়ে একটা দুরন্ত ছক্কা হাঁকান। ২৫০০ রান পূর্ণ করে ফেললেন টি টোয়েন্টিতে। ৬২ ইনিংসে।
advertisement
পাকিস্তানের এই দলটাকে জেতানোর পেছনে অন্যতম ভূমিকা থাকছে ওপেনিং জুটির। আজ বাবর অথবা রিজওয়ানকে তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে দিলে অস্ট্রেলিয়ার সুবিধা হত। সেটা হল না। পাকিস্তানকে শক্ত প্ল্যাটফর্মের ওপর নিয়ে যেতে থাকলেন এই দুজন। দশ ওভারে আউট হলেন বাবর। জাম্পার বলে মারতে গিয়ে লং অনে ওয়ার্নারের হাতে ধরা পড়লেন (৩৯)। এলেন ফখর জামান।
এই পর্বে পাকিস্তানের রান তোলার গতি কিছুটা ধাক্কা খেল।অ্যাডাম জাম্পা বুদ্ধি করে বল করলেন। অতিরিক্ত বোলার হিসেবে ম্যাক্সওয়েল খারাপ বল করলেন না। রিজওয়ান অবশ্য লড়াই চালিয়ে গেলেন রান বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার। মিচেল স্টার্ক এর বলে হেলমেটে আঘাত খেলেন। অন্যদিকে জামান নিজের স্বাভাবিক আক্রমনাত্মক শট খেলার চেষ্টা করলেও, টাইমিং করতে পারছিলেন না।
অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন রিজওয়ান। টুর্নামেন্টের নিজের তৃতীয় অর্ধশতরান। একটি ক্যালেন্ডার বছরে টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে হাজারের ওপর করে ফেললেন তিনি। ১৪ ওভারে একশো রানে পৌঁছে গেল পাকিস্তান। মাঠে পাকিস্তানি দর্শকদের দাপটে ক্রিকেটাররা মোটিভেটেড হচ্ছিলেন বেশি করে। শেষ পর্যন্ত মিচেল স্টার্ক ফিরিয়ে দিলেন রিজওয়ানকে।
৬৭ রানের ইনিংস সাজানো ছিল তিনটি বাউন্ডারি এবং চারটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে।ফখর জামান অবশ্য আক্রমনাত্মক ইনিংস খেলার চেষ্টা করলেন। ওভার বাউন্ডারি মারলেন।কিন্তু শেষ দুটি ওভারে কামিন্স এবং মিচেল স্টার্ক নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেন। শোয়েব মালিক বোল্ড হয়ে গেলেন ১ রান করে। শেষ ওভারে পরপর দুটো ছক্কা মেরে নিজের অর্ধশত রান পূর্ণ করলেন ফখর জামান। পাকিস্তানকে পৌঁছে দিলেন লড়াকু রানে।