সায়নী দাসের কথায়, এই জিব্রাল্টার চ্যানেলটি স্পেন এবং মরক্কোর মাঝখানে। অন্যান্য চ্যানেলের তুলনায় এই চ্যানেলটি পার করার দূরত্ব কম হলেও কিন্তু প্রতিকূলতা অনেক বেশি। তার কারণ হাঙ্গরের আক্রমণ অনেক বেশি হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত সমুদ্র স্রোতের সমস্যাও থাকে। সেকারণে সবকিছু ভেবে তাঁকে অনুশীলনও আলাদা ধরনের করতে হয়েছে।
advertisement
সায়নী আগেই জানিয়েছিলেন যে ১৪ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে যেদিন আবহাওয়া ভাল থাকবে সেদিন আমেরিকার দুজন এবং ভারত থেকে একমাত্র সায়নী দাস, এই তিনজন মিলে একসঙ্গে পাড়ি দেবেন জিব্রাল্টার চ্যানেল জয়লাভের জন্য। সেরকমই শুক্রবার ১৮ এপ্রিল স্পেনের সময় দুপুর ১:১৫ এবং ভারতীয় সময় বিকেল ৪:৪৫ এ জিব্রাল্টার প্রণালীতে নামেন সায়নী। বর্তমানে সকলের নজর রয়েছে সায়নীর দিকে। এই জিব্রাল্টার জয়লাভ করলে সায়নী মোট ছয়টি চ্যানেল জয়লাভ করে ফেলবে।
সায়নীর আগামী দিনের লক্ষ্য, তার জীবনের এই অভিজ্ঞতাগুলিকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে ভারতে সাঁতারের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করে নতুন সাঁতারুদের উচ্চতায় পৌঁছে নিয়ে যাওয়া। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মেয়ে সায়নি। ছোট বয়সেই বাবার হাত ধরে সাঁতারে হাতেখড়ি তার। তারপর থেকে কঠিন অনুশীলনের মাধ্যমে তিনি নিজেকে সাঁতারু হিসেবে গড়ে তুলেছেন। বর্তমান সায়নীর স্বপ্ন বা ইচ্ছা সে সপ্তসিন্ধু জয় করবে।
Banowarilal Chowdhary