রোহিত ব্যাট হাতে আবার ব্যর্থ। বাউন্ডারি মেরে শুরু করলেও মাত্র সাত রান করে ফিরে গেলেন হিটম্যান। ঈশান অবশ্য দুর্দান্ত একটা ৪২ রানের ইনিংস উপহার দিলেন। তিনি আউট হওয়ার পর সূর্য কুমার যাদব এবং তরুণ ব্যাটসম্যান নেহাল ওয়াধেরা একটা পার্টনারশিপ তৈরি করলেন। সূর্য আবার একটা হাফ সেঞ্চুরি করলেন। তাকে যোগ্য সাপোর্ট দিলেন নেহাল। সূর্যের ব্যাটিং দেখে স্বয়ং মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর হাততালি দিলেন।
advertisement
ছেলে খেলা করলেন আরসিবি বোলারদের নিয়ে। বোঝা গেল সূর্য যেদিন ছন্দে থাকবেন সেদিন একাই তিনি শেষ করে দিতে পারেন যে কোন দলকে। প্রথম সাক্ষাৎ আরসিবি হারিয়েছিল মুম্বইকে। তবে এই ম্যাচের প্রেক্ষাপট ছিল একেবারে ভিন্ন। দুই দলই জিততে মরিয়া ছিল। তাই লড়াই হবে উচ্চমার্গের।
টস জিতে আগে আরসিবিকে ব্যাটিং করতে পাঠালেন রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলি (১) আজ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তিন নম্বরে নেমে অনুজ রাওয়াতও (৬) জঘন্য শট খেলে ফিরে গেলেন। মনে হয়েছিল রোহিত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু এরপর খেলাটা ধরে ফেললেন অধিনায়ক দু প্লেসি এবং ম্যাক্সওয়েল। ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করলেন ম্যাক্সওয়েল।
ফাফ ডু প্লেসিস দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেন। তিনি এবং ম্যাক্সওয়েল মিলে ক্রমশ বড় রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন বেঙ্গালুরুকে। দশ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর ছিল ১০৪ রানের দুই উইকেট। ডু প্লেসি নিজেও হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেন। ১০০ রানের পার্টনারশিপ হয়ে গেল ১১ ওভারের মধ্যে। অন্যদিন পীযূষ চাওলা মুম্বইয়ের হয়ে ধারাবাহিক উইকেট নেন। আজ ওয়াংখেড়েতে চাওলা সম্পূর্ণ ফ্লপ। সবচেয়ে সফল বেরেনদফ। তিনটে উইকেট নিলেন তিনি।
ম্যাক্সওয়েল ৬৮ করে আউট হলেন। লোমরোর (১) বোল্ড হলেন। ৬৫ করে ফিরে গেলেন দু প্লেসি। উইকেট নিলেন ক্যামেরণ গ্রিন।শেষ দিকে দীনেশ কার্তিক বেশ কিছু আক্রমণাত্মক শট খেলেন। এদিন অবশ্য মুম্বাইয়ের ফিল্ডিং যথেষ্ট খারাপ ছিল। কিন্তু আজ খাদের কিনারা থেকে রোহিত এবং তার দলকে বাঁচিয়ে দিলেন সূর্য কুমার। ৩৫ বলে ৮৬ রানের ইনিংস সাজানো ছিল সাতটি বাউন্ডারি এবং ছটা ছক্কা দিয়ে।