অধিনায়ক হিসেবে এটি কোহলির শেষ বিশ্বকাপ, তাই এটা বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা পারব এবং এর পেছনে সবার লক্ষ্য স্থির করতে হবে শুধু তার (কোহলি) জন্য। এর জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর অপেক্ষার তর সইছে না ভারতীয় ভক্তদের। আমাদের খেলোয়াড় ক্ষমতা আছে, গতি আছে। আমাদের শুধু দরকার এটিকে কাজে লাগানো। আমাদের খেলোয়াড়রা কিছুদিন আগে দুবাইয়ে আইপিএলের ৮-৯ ম্যাচ খেলেছে এবং দুর্দান্ত ফর্মে আছে সবাই। এ কারণে সব দলের তুলনায় ভারতীয় দল এগিয়ে আছে এবং জেতার জন্য ফেবারিট হিসেবে আছে বলে আমি মনে করি।
advertisement
দুবাইয়ের খেলার পরিবেশ ভারত পাকিস্তানের মতোই যেখানে আমরা খেলি। তাই এশিয়ান টিমগুলো সেখানে তাদের মতো করেই খেলতে পারবে। আমাদের মনে রাখতে হবে এই টুর্নামেন্টে অনেক ভাল টিম আছে। পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু ঘটতে পারে কারণ এটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। আমি মনে করি, ভারতের ব্যাটিংয়ের সাফল্য সেরা তিনে রয়েছে।
রোহিত শর্মা একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়, তার আইসিসি টুর্নামেন্ট এবং আইপিএলে অনেক সাফল্য রয়েছে । আমাদের রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল এবং বিরাট কোহলির ১৫ ওভার ব্যাটিং করা লাগবে। এতে করে খেলার গতি বাড়বে। স্কোরবোর্ডে বড় রান তোলা সম্ভব হবে। আমাদের মিডল অর্ডারেও ভাল খেলোয়াড় রয়েছে। অবশ্যই ঋষভ পন্থ সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। হার্দিক পান্ডিয়াও মারমুখী খেলার ক্ষমতা রাখে।
কিন্তু ভারতের প্রথম তিন জন যদি মাঠে থাকে তাহলে এমন কোনো লক্ষ্য নেই যা তারা করতে পারবে না। আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী দুবাই এবং ওমানের পিচ খুবই ভয়াবহ হবে যখন কোনো রহস্যময় স্পিনার আসবে। এটি বরুণ চক্রবর্তীকে ভারতের বোলিং লাইনআপের মূল অস্ত্র করে তোলে। মাত্র তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে কিন্তু আমি তার অভিজ্ঞতা নিয়ে উদ্বিগ্ন নই।
দলে আরও অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে বিশেষ করে পেস অ্যাটাকে। ভুবনেশ্বর কুমার তার অভিজ্ঞতা আর জ্ঞান দিয়ে সঠিকভাবে পথ দেখাবে কিভাবে বড় ম্যাচগুলো বের করে আনতে হয়। শার্দুল ঠাকুর ফাস্ট বোলারদের আলাদা শক্তি দিতে পারে যা বিরাট কোহলির হাতে থাকছে। পাশাপাশি ওর ব্যাটের হাত ভাল। আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছি। গত দুই বছর কঠিন সময় পার করেছে ক্রিকেট বিশ্ব। তবে আমি মনে করছি দুবাই এবং ওমানে আমরা বিশেষ কিছু করে দেখাতে যাচ্ছি।