গাভাসকারের ভাষায়, ওয়ার্কলোড আসলে একটি মানসিক ধারণা, শারীরিক নয়। তিনি বলেন,“মহম্মদ সিরাজ প্রমাণ করে দিয়েছেন যে ওয়ার্কলোড কোনো বিষয়ই না। আমি আশা করি ওয়ার্কলোড শব্দটি ভারতীয় ক্রিকেটের ডিকশনারি থেকে বাদ দেওয়া হবে। পাঁচটি টেস্ট ম্যাচে, টানা ৭-৮ ওভারের স্পেল করে গেছেন, কারণ অধিনায়কের তাকে দরকার ছিল, আর দেশ তাকে চেয়েছিল। সকলকে মনে রাখতে হবে—ওয়ার্কলোড মানসিক বিষয়, শারীরিক নয়। যদি আপনি এই শব্দটিকে গুরুত্ব দিতে থাকেন, তাহলে কখনই আপনি মাঠে দেশের জন্য আপনার সেরা খেলোয়াড়দের পাবেন না।”
advertisement
বর্তমান ক্রিকেটে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। ম্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বিরতির ঘাটতির কারণে খেলোয়াড়দের চোট এড়াতে দলগুলো এখন বিজ্ঞান ও বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেয়। তবে গাভাসকারের মতো অনেক পুরনো প্রজন্মের ক্রিকেটাররা এটিকে দুর্বলতা হিসেবে দেখেন এবং বিশ্বাস করেন, খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তার অভাবই এর পেছনে কাজ করে।
গাভাসকার আরও বলেন, “যখন আপনি দেশের হয়ে খেলছেন, তখন ব্যথা ভুলে যেতে হবে। সীমান্তে আমাদের জওয়ানরা কি ঠান্ডা নিয়ে অভিযোগ করেন? ক্রিকেট খেলছেন মানেই দেশের জন্য সেরাটা দেওয়া। ঋষভ পন্ত কী দেখালেন? চোট পেয়েও ব্যাট করতে নামলেন। এটাই আমরা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আশা করি। ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলা এক গর্বের বিষয়। আপনি ১৪০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং মহম্মদ সিরাজ আমাদের ঠিক সেটাই দেখালেন।”
আরও পড়ুনঃ Mohammed Siraj: ‘সিরাজ কোনো বোলারই নয়…আমার লেভেল আলাদা’, ভারতীয় পেসারকে চরম অপমান পাকিস্তান পেসারের
সম্প্রতি শেষ হওয়া ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-২ ড্র হয়েছে। সিরিজের শেষ ম্যাচে ওভালে এক রোমাঞ্চকর জয় এনে দেন সিরাজরা। গাভাসকার মনে করেন, এই সিরিজই প্রমাণ করেছে দেশপ্রেম আর মানসিক দৃঢ়তাই একজন সত্যিকারের খেলোয়াড়ের পরিচয়।