ভারত শেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় এক দশক। খেতাব জয় তো দূর থাক, মেগা ইভেন্টে সেমি-ফাইনালের গণ্ডি টপকাতে ব্যর্থ টিম ইন্ডিয়া। দুয়ারে কড়া নাড়ছে আরও দু’টি বিশ্বকাপ। তবে ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরের মতে, ২০২২ সালে টি-২০ ও ২০২৩ সালে ওডিআই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের।
advertisement
আরও পড়ুন - Mohammed Shami 200: ‘বাংলার সুলতান’ বলে উচ্ছ্বসিত শাস্ত্রী, শামির প্রশংসায় রোহিত
আর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে কী করতে হবে রোহিত শর্মাদের, সেই টোটকাও বাতলে দিয়েছেন সানি। তাঁর কথায়, ভারত দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভালোই খেলছে। তবে আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারছে না। তার কারণ, দক্ষ অলরাউন্ডারের অভাব। ভারত যদি তাড়াতাড়ি দু’জন ভালে আলরাউন্ডার খুঁজে পায়, তাহলে আগামী দু’টি বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ ও সম্ভাবনা দু’টোই বাড়বে।
১৯৮৩ সালে কপিল দেবের নেতৃত্বে প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। সেই দলে ওপেনার ছিলেন সুনীল গাভাসকর। তৎকালীন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বশ মানিয়ে কপিল ব্রিগেড যে বিশ্বকাপ জিতবে, সেটা অনেকেই ভাবেননি। কিন্তু অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছিলেন অমরনাথ, যশপাল শর্মারা। স্মৃতির সরণি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সানি বলেন, ১৪জন ক্রিকেটার ও একজন ম্যানেজার মিলে আমরা বিশ্বজয় করেছিলাম। কাজটা মোটেও সহজ ছিল না।
২০০৭ ও ২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের পিছনেও ছিল অলররাউন্ডারদের বড় ভূমিকা। তাই আইসিসি ট্রফি জিততে হলে কমপক্ষে দুজন অলরাউন্ডার থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং অক্ষর প্যাটেলকে তৈরি করছে ভারত। এই দুজনের ওপর বিশেষ নজর দেবে বিসিসিআই।
যত বেশি সম্ভব ম্যাচ খেলাতে হবে এদের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে যেমন একদিনের দলে ভেঙ্কটেশ এবং অক্ষর দুজনেই থাকবেন বলা যায়। কারণ দেখতে দেখতে পরের বছর চলে আসবে। যত বেশি ম্যাচ খেলানো যাবে, তত প্রস্তুত হতে পারবেন ক্রিকেটার। সেটাই একমাত্র উপায় অলরাউন্ডার তুলে আনার মনে করেন সানি।