২০২৩ সালে এই প্রতিযোগিতা ফিলিপিনসে হয়েছিল। এবার ভারতের চেন্নাইতে অনুষ্ঠিত হল। এই প্রতিযোগিতা ৫ থেকে ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। মোট ২০টি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিলেন। মূলত ৩৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে গেলে ইন্ডিয়ান অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের নির্ধারিত প্রতিযোগিতায় পদক পেতে হয়। তবেই এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করা যায়। সায়ন্তনী দেশে-বিদেশে ধারাবাহিকভাবে ভাল ফল করায় এই প্রতিযোগিতায় সুযোগ পেয়েছিল। হলদিয়ার সায়ন্তনী ৫ কিমি ট্র্যাক ওয়াকে ও ১০ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পদক পান। সায়ন্তনী এর আগেও চারটি বিদেশ সফর করেছেন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৯টি সোনা ও ৪টি রূপো।
advertisement
আরও পড়ুন: দিনের আলোতেই দুঃসাহসিক ঘটনা! বিঘার পর বিঘা ধান লুঠ, কেঁদে কূলকিনারা পাচ্ছেন না চাষিরা
২৩তম এশিয়া মাস্টার্স প্রতিযোগিতায় কাজাকিস্তান, ইরান, চিন ও শ্রীলঙ্কার প্রতিযোগীদের হারিয়ে তিনি পাঁচ কিমি ট্র্যাকওয়াকে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন। এই ইভেন্টে ২২টি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিল। ১০ কিমি দৌড় প্রতিযোগিতাতেও সায়ন্তনী পদক পান। সায়ন্তনীর থেকে জানা যায় ১০ কিমি দৌড় ছিল ভীষণ কঠিন। প্রতিযোগীর সংখ্যাও ছিল অনেক। সায়ন্তনী জানান, এবারের প্রতিযোগিতা ভীষণ কঠিন ছিল। সারা বিশ্ব থেকে দুর্দান্ত সব বাছাই করা প্রতিযোগীরা এসেছিলেন। সায়ন্তনী জানান, “শরীর ভাল ছিল না। জ্বর থেকে উঠেও এত ভাল করতে পারব ভাবতে পারিনি। আমার কোচ রাজস্থানের মানুষ সাভার হিরজে। আমাকে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দিতেন। প্রতিদিন সুইমিং, রানিং ও জিম করেছি। শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে নির্দিষ্ট ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়েছি। পরিবার ভীষণ খুশি।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সায়ন্তনীর বাবা অজয় কুমার সাহা ছিলেন বন্ধ সার কারখানার কর্মী। মা শান্তালতা বিষয়ী সাহা জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। অ্যাথলেটিক্স হওয়ার ক্ষেত্রে ছোট থেকেই বাবা-মা সহ পরিবারকে পাশে পেয়েছে সায়ন্তনী। বর্তমানে সায়ন্তনের ধ্যান জ্ঞান অ্যাথলেটিক্স। এর জন্য নিজে স্কুলের চাকরি ছেড়েছেন। বর্তমানে অনলাইনে দেশে বিদেশের ছেলেমেয়েদের ফিটনেস ট্রেনার হিসাবেও কাজ করছেন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় দেশের জাতীয় পতাকা তুলে ধরতে পেরে ভীষণ খুশি হলদিয়ার ক্ষুদিরামনগরের সায়ন্তনী। সায়ন্তনীর সঙ্গেই চেন্নাইয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন হলদিয়ার বাসিন্দা সমরজিৎ বেরা (দৌড়), সুনিতা প্রসাদ (থ্রোয়ার) ও ময়নার প্রশান্ত পাত্র (দৌড় ও ট্র্যাক ওয়াক) বিভাগে।






