শিলিগুড়ির মেয়ে একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী বাঙালি। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনাল জিতেছে ভারতীয় দল। রিচা ফাইনালে করেন ৩৪ রান। দেখতে রানটা আহামরি নাও মনে হতে পারে। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী এই রান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ম্যাচের পর রিচা জানান, বিশ্বকাপ জিততে জীবন বাজি রাখতেও পিছপা হতেন না।
নাদিন ডি ক্লার্কের ক্যাচ হরমনপ্রীত কৌর ধরার পরই সারা দেশে শুরু হয়েছিল আবেগের বিস্ফোরণ। ভারত বিশ্বজয়ী। সেই মুহূর্তে হরমনপ্রীত দুহাত তুলে ডিপ কভারের দিকে ছুটতে থাকেন। আর তখনই ইয়ান বিশপ ধারাভাষ্যে বলেন, “এই একটা জয় গোটা দেশের মহিলা ক্রিকেটকে চাঙ্গা করে দেবে। তরুণ প্রজন্মের কাছে এটা বিরাট ব্যাপার হবে।” বাস্তবেও হল তাই।
advertisement
মেয়ে বিশ্বকাপ খেলছে। টেনশনে ঘুম উড়েছিল রিচার বাবা-মায়ের। সেমিফাইনালের আগে থেকেই তাঁরা মুম্বইতে গিয়ে থাকছিলেন। মাঠে ছিলেন। রবিবার ফাইনাল দেখেছেন গ্যালারিতে বসে। রিচার বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ বলছিলেন, কেমন অনুভূতি তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমার মেয়ে এই জয়ে একটা রোল প্লে করেছে, সেটাই আমাদের কাছে বড় প্রাপ্তি। গোটা দলটা ভাল খেলেছে। তবে সন্তানের সাফল্য সব সময় বাবা-মা সব থেকে বেশি উপভােগ করে।
আরও পড়ুন- প্রিয় মানুষের হার্ট অ্যাটাক, ফাইনাল জেতানো ক্যাচ ধরা আমনজ্যোত ছুটলেন বাড়ি
ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২৪ বলে ৩৪ রান। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র ১৬ বলে ২৬। সঙ্গে দুরন্ত উইকেটকিপিং। রিচা বাড়ি ফিরলে কেমন উদযাপন হবে! জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া হবে নিশ্চয়ই! রিচার বাবা বললেন, খাওয়া-দাওয়া কী হবে, তা ওর মা ঠিক করবে। ওকে নিয়মের মধ্যে থাকতে হয়। একটা-দুটো দিন নিয়মের বাইরে যেতে পারে। ওর মায়ের হাতের ফ্রায়েড রাইস হবে। ও খুব ভালবাসে। তার পর আবার নিয়মে বাঁধা জীবন।
