কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনের পর প্রশ্ন উঠছে, ২৪ বছর পর অস্ট্রেলিয়া দল পাকিস্তান সফরের প্রস্তুতি নিলেও সিরিজ শেষ পর্যন্ত মাঠে গড়াবে তো? সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অস্ট্রেলিয়া দলের কিছু ক্রিকেটার। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে কিছু সন্ত্রাসী হামলা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে ক্রিকেটারদের মধ্যে।
advertisement
গত সপ্তাহে লাহোরে সন্ত্রাসী হামলা হয়। সফরের বেশির ভাগ সময় পাকিস্তানের এই শহরেই থাকবে অস্ট্রেলিয়া দল। অস্ট্রেলিয়া দলের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র দেশটির সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, আমরা সবাই এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। গত বৃহস্পতিবার লাহোরের এক বাজারে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় ২৬ জন আহত ও ৩ জন নিহত হন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) বিবৃতিতে জানায়, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা সবার আগে, সফরের পরিকল্পনা নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং নিজেদের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ কাজ করে যাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ গত শনিবার সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ১৫ আগস্টের পর থেকে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ৩৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৮ শতাংশ হয়েছে। গত বছর ১৫ আগস্ট তালিবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের শাসনক্ষমতা দখলের পর পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি আপাতত নিরাপত্তাপরিকল্পনায় সন্তুষ্ট।
নিরাপত্তাব্যবস্থা খুব শক্তিশালী বলে মনে হচ্ছে এবং পরিকল্পনা খুব পরিষ্কার। আমার মনে হয়, সফরের ছোটখাটো কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করছে দুই বোর্ড। সফরের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেয়ে যাওয়ার পর আমরা স্কোয়াড ঘোষণা করব। আপাতত আমরা সে পথেই আছি। করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডিতে ম্যাচগুলো হওয়ার কথা।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া অবশ্য চেয়েছে যদি একটি মাঠেই তিনটি ম্যাচ করা যায়। নিরাপত্তা ছাড়াও করোনা সংক্রমণ অন্যতম কারণ। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। নিরাপত্তাশঙ্কায় এরপর আর পাকিস্তান সফরে যায়নি অস্ট্রেলিয়া দল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তানের। এছাড়াও পাকিস্তান সফর সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার আগে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল সহ কয়েকজন ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে পারেন আইপিএল খেলার জন্য।