শনিবার সকালে মাঠে এসে চেয়েছিলেন একজন স্পেশালিস্ট চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে। কিন্তু সেই সময় স্পেশালিস্ট কোনও ডাক্তার উপস্থিত ছিল না। একজন আরএমও ছিলেন। ফলে স্পেশালিস্ট চিকিৎসকের পরামর্শ ম্যাচের আগে নেওয়া সম্ভব হয়নি গিলের। টিমের ফিজিওর থেকে শুশ্রুষা নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন ভারত অধিনায়ক। যদিও ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের ব্যাট করার শুরুতেই ঘাড়েই চোট পান গিল। আফ্রিকার স্পিনার হারমারে বলে সুইপ শট মারতে গিয়ে ঘাড়ে চোট আরও বেড়ে যায় ভারত অধিনায়কের। ভারতীয় দলের ফিজিও দীর্ঘক্ষন মাঠে চিকিৎসা করলেও সুস্থ করা যায়নি গিলকে। ঘাড়ের ব্যথায় মাথা ঘোরাতেই সমস্যা হচ্ছিল গিলের। ফলে মাত্র তিন বল খেলেই মাঠ ছাড়তে হয় গিলকে।
advertisement
আরও পড়ুন – KKR release Russell: ১০ বছরের সখ্যতা শেষ হল, সকলকে চমকে দিয়ে রাসেলকে ছাড়ল কেকেআর
ড্রেসিংরুমে গিলকে ঘাড়ের কলার পরিয়ে রাখা হয়। যেটাকে নেক কলার বলা হয়। ড্রেসিংরুমে কিছুক্ষণ তাকে হাঁটানোর চেষ্টা হয়। সূত্রের খবর, ভারতীয় দল প্রাথমিকভাবে ভেবেছিল ব্যথা কমলে হয়তো ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়ের সময় ফের মাঠে নামতে পারবেন গিল। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি। খেলা শেষ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ভারত অধিনায়ককে। অ্যাম্বুলেন্স করে ইডেন থেকে হাসপাতালে যান গিল। চোটের জায়গা এমআরআই করা হয়েছে বলে খবর। ইডেনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সম্ভাবনা কার্যত নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে বিতর্কের সূত্রপাত দিনের শুরুতে ঘাড়ের সমস্যার জন্য স্পেশালিস্ট চিকিৎসক না থাকার কারণে। যদিও সিএবির তরফে খবর, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের গাইডলাইন অনুযায়ী সমস্ত স্পেশালিস্ট ডাক্তাররাই মাঠে ম্যাচ চলাকালীন থাকেন এবং ছিলেন। তবে যখন শনিবার মাঠে এসে সকালে গিল স্পেশালিস্ট চিকিৎসকের খোঁজ করেন তখনও সেই চিকিৎসক এসে মাঠে উপস্থিত হতে পারেননি। কারণ নির্দিষ্ট যে সময় মাঠে আসার কথা তার আগেই ঘটনাটি ঘটে। সূত্রের খবর, ম্যাচের আগে স্পেশালিস্ট ডাক্তার না পাওয়ার ঘটনায় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট অসন্তুষ্ট হয়েছে। যদিও সিএবির দাবি, সকাল সাড়ে নটায় খেলা শুরু হওয়ার সময় মাঠে উপস্থিত হয়ে ছিলেন স্পেশালিস্ট ডাক্তার। তবে তখন আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।
তবে এই বিতর্কে জল ঢেলে সিএবি কর্তাদের দাবি, ব্যাট করার সময় যখন চোট পেলেন ভারত অধিনায়ক, তারপরই চিকিৎসার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা তৈরি ছিল। কিন্তু মাঠের পাশেই তৈরি হওয়া ডাক্তারদের রুমে গিলকে নিয়েও যাওয়া হয়নি। এমনকি ড্রেসিংরুমে ডেকেও পাঠানো হয়নি। পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য দুপুরবেলায় গিলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও ভারতীয় টিমের ডাক্তারের তরফ থেকে কোনরকম গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, গিলকে ড্রেসিংরুমে চিকিৎসা করে সুস্থ করার চেষ্টা করার চেষ্টা চালাচ্ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট৷ কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
