নিউজ চ্য়ানেল এআরওয়াই-এর সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি দাবি করেছিলেন, ১৯৯৯ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কার্গিল যুদ্ধে তিনি অংশ নিতে চেয়েছিলেন। আর সেই কারণে তিনি নটিংহামশায়ারের ইংলিশ কাউন্টি থেকে এক লাখ ৭৫ হাজার ডলারের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
আরও পড়ুন- Lovlina Borgohain: অলিম্পিক্সে পদকজয়ী লভলিনার বিস্ফোরক ট্যুইটের পরেই আসরে অনুরাগ ঠাকুর, মিটল সমস্যা
advertisement
আখতার বলেছিলেন, এই গল্পটা খুব কম লোকজনই জানে। আমি নটিংহামশায়ার কাউন্টি থেকে এক লাখ ৭৫ হাজার ডলারের একটি চুক্তির প্রস্তাব পেয়েছিলাম। তবে আমি সেই সময় কার্গিল যুদ্ধে শামিল হতে চেয়েছিলাম।
শোয়েব জানিয়েছিলেন, এর পর ২০০২ সালেও তিনি আরও একটি বড় চুক্তির প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু যখন কার্গিল যুদ্ধ চলছিল, তখন তিনি কাউন্টি ক্লাবে খেলার প্রস্তাবই প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। আখতারের সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছিল কাউন্টি দলটি।
শোয়েব আখতার জানান, ওই সময় তিনি লাহোরের কাছাকাছি ছিলেন। একজন আর্মি জেনারেল তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি এখানে কী করছেন? আখতার বলেছিলেন, যুদ্ধ শুরু হতে চলেছে। আমরা একসঙ্গে মরব। কিন্তু যুদ্ধে যাব।
ওই সাক্ষাৎকারে শোয়েব আখতার আরও প্রকাশ করেছিলেন, তিনি দুবার কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার প্রস্তাব ছেড়েছেন। কাউন্টি ক্লাবও তার সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছিল। তবে তিনি মোটেও চিন্তিত ছিলেন না।
শোয়েব আখতার বলেছিলেন যে সেই সময় তিনি কাশ্মীরে তাঁর বন্ধুদের ডেকে বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
পাকিস্তানের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার সেই খেলোয়াড়দের তালিকায় রয়েছেন যাঁরা রাজনীতি এবং ক্রিকেটকে আলাদা রাখার পক্ষে। লকডাউনের ঠিক আগে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট খেলার সওয়াল করেছিলেন।
আরও পড়ুন- Laxmi Ratan Shukla : জাফর বা ফ্লাওয়ার নন, বাংলার ক্রিকেট দলের কোচের ভার লক্ষ্মীর হাতে
আখতার বলেছিলেন, এশিয়ার দুটি প্রতিবেশী দেশের উচিত, রাজনৈতিক মতপার্থক্যকে দূরে রেখে ক্রিকেট খেলা। তিনি বলেছিলেন, ভারত-পাকিস্তান কাবাডি, টেনিস দল যদি একে অপরের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক ম্যাচ খেলতে পারে, তবে কেন দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেট হতে পারে না! ভারত-পাকিস্তানের নিরপেক্ষ দেশে ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন তিনি।