আহমেদাবাদ: ফাইনালে চেন্নাইর বিরুদ্ধে ঘরের শত্রু হবেন একজন তামিলনাড়ুর ব্যাটসম্যান অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেননি। সবাই ব্যস্ত ছিলেন গিল ঝড় দেখার অপেক্ষায়। কিন্তু সুদর্শনের চক্র রক্তাক্ত করল চেন্নাইকে। কথায় বলে সকাল দেখে নাকি বোঝা যায় গোটা দিনটা কেমন যাবে। আইপিএল ফাইনালের প্রথম দিকটা যদি কিছুর ইঙ্গিত দিয়ে থাকে তাহলে সেটা হল বেশ বড় টোটাল এর দিকে যাচ্ছে গুজরাত টাইটানস।
advertisement
টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। শুভমন গিল যখন সবেমাত্র চার রানে ব্যাটিং করছেন সহজ ক্যাচ ফেলে দিলেন দীপক চাহার। সবাই যখন গিল নিয়ে ব্যস্ত তখন চেন্নাইয়ের ওপর প্রথম আক্রমণ আনলেন ঋদ্ধিমান সাহা। বাঙালি উইকেট রক্ষক তুষার, দীপকদের বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি মারলেন। গিলকে যতটা সম্ভব চাপ মুক্ত রাখা ছিল তার কাজ। অন্যদিকে গিল কিছুক্ষণ পর থেকে নিজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং তুলে ধরলেন।
পাওয়ার প্লেতে গুজরাতের রান ছিল ৬২/০। রবীন্দ্র জাদেজার বলে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে স্ট্যাম্প আউট হলেন গিল (৩৯)। আজ সাতটি বাউন্ডারি মারলেন গিল। ফাইনালে তাকে ঝড় তুলতে দিলেন না ধোনি। .১২ সেকেন্ডে ভেঙে দিলেন স্টাম্প। গিল নিজের ব্যালেন্স ফিরে পাওয়ার আগেই যা হওয়ার হয়ে গেল। এমনকি রবীন্দ্র জাদেজা পর্যন্ত বুঝতে পারলেন না। ধোনি বুঝিয়ে দিতে পারলেন তার বয়স হয়েছে ঠিক কথা, কিন্তু রিফ্লেক্স আগের মতই।
টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যানকে যেভাবে আউট করলেন তাতে তার মগজাস্ত্র কতটা সাংঘাতিক আবার বোঝা গেল। ঋদ্ধিমান সাহা নিজের অর্ধশত রান পূর্ণ করলেন। আইপিএল ফাইনালে এর আগে ২০১৪ সালে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ৫৪ করে ফিরলেন ঋদ্ধিমান। সাই সুদর্শন তিন নম্বরে নেমে একটা গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেন। চার নম্বরে এলেন অধিনায়ক হার্দিক।
সুদর্শন নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন। নিজের রাজ্য তামিলনাড়ুর দল চেন্নাইর বিরুদ্ধে ফাইনালে অসাধারণ একটা পারফরম্যান্স তুলে ধরলেন বাঁহাতি। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি পেলেন না। ৯৬ করে ফিরে গেলেন। ফাইনালে এই রান তুলতে চেন্নাইয়ের কঠিন পরীক্ষা হবে তাতে সন্দেহ নেই।