বাকিদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে জাদেজা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রীধর জানিয়েছেন, ভারতীয় দলের সব ক্রিকেটার এখন ফিল্ডিং নিয়ে অত্যন্ত সিরিয়াস। ফিটনেস সচেতন দলের সকলে। কিন্তু সবার থেকে এগিয়ে থাকবেন রবীন্দ্র জাদেজা। কারণ হিসেবে শ্রীধর মনে করেন একজন অ্যাথলিট হিসেবে যা গুণ থাকা দরকার, তার সবকটাই রয়েছে জাদেজার।
advertisement
ক্যাচ ধরা থেকে শুরু করে, সরাসরি উইকেট ভেঙে দেওয়া, বাউন্ডারিতে বল তাড়া করা, উঁচু ক্যাচ সঠিকভাবে ধরা - জাদেজার জুড়ি মেলা ভার। জাদেজা স্বাভাবিক অ্যাথলিট। শুধু ফিটনেস ট্রেনিং করে আনা যায় না। মাথা এবং শরীর একসঙ্গে কাজ করলে তবেই এটা সম্ভব মনে করেন শ্রীধর। একটা সময় ছিল ভারতীয় ক্রিকেটে যখন ফিল্ডিং বেশি গুরুত্ব পেত না। কপিল দেব ভাল ফিল্ডিং করলেও, দলের মধ্যে ফিল্ডিং সংস্কৃতি সেভাবে ছিল না।
মহম্মদ আজহারউদ্দিনের (Mohammad Azharuddin) আমলে যার গুরুত্ব প্রথম বোঝা যায়। আজহার নিজেও একজন দুর্দান্ত ফিল্ডার ছিলেন। এরপর জন রাইট কোচ হওয়ার পর সৌরভের ভারত যুবরাজ সিং এবং মহম্মদ কাইফকে পায় দুর্দান্ত ফিল্ডার হিসেবে। তারপর মহেন্দ্র সিং ধোনি হয়ে বিরাট কোহলির জমানায় আরও গুরুত্ব বেড়েছে ফিল্ডিং এর। শ্রীধর বলছেন ফিল্ডিং ভাল হলে ম্যাচ জেতা সম্ভব সেটা এখন বিশ্বাস করেন ক্রিকেটাররা।
ফিল্ডিং সংস্কৃতি এখন দলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আর রবীন্দ্র জাদেজা এমন একজন ফিল্ডার, যাঁকে মাঠের সব জায়গায় ব্যবহার করা যায়। শুধু ফিল্ডিং করেই প্রচুর রান বাঁচিয়ে দিতে পারে তিনি। সম্প্রতি ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যে দল ঘোষিত হয়েছে, তাতে জায়গা হয়নি জাদেজার। ডান হাতের কনুইয়ের চোট রয়েছে তার। ডাক্তার অন্তত এক মাস বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন।
তবে শুধু ফিল্ডার হিসেবে নয়। বোলার রবীন্দ্র জাদেজাও ভারতের সম্পদ। সাদা বলের ক্রিকেট হোক, বা টেস্ট ক্রিকেট, বোলার জাদেজার উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা প্রশ্নাতীত। কিন্তু সম্প্রতি ব্যাটসম্যান হিসেবেও অনেক উন্নতি করেছেন তিনি। ভারতের জার্সি গায়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার পাশাপাশি, আইপিএলেও চেন্নাইয়ের হয়ে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন তিনি।
তাই শ্রীধর মনে করেন রবীন্দ্র জাদেজার মতো অলরাউন্ডার ক্রিকেটার, ভারতের তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটেও এই মুহূর্তে বিড়ল। কাছাকাছি রাখা যেতে পারে বেন স্টোকস এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে।