পুরুলিয়ার আদ্রা রেলশহরের জ্যোতিমোড় এলাকার বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী চিরঞ্জিত বাউরি বর্তমানে তার মা-কে নিয়ে টালির ছাউনি দেওয়া এক মাটির বাড়িতে থাকেন। অভাবের সংসার, সীমিত আয়। কিন্তু লড়াই থামেনি তার। ২০১৬ সালে বাবা জীবন বাউরির মৃত্যুর পরেই আর্থিক অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় চিরঞ্জিতের। তারপর থেকেই তিনি নিয়মিত বক্সিং অনুশীলন শুরু করেন স্থানীয় নেতাজি সেবক সংঘ ক্লাবে। কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় আর অদম্য ইচ্ছাশক্তিকেই সঙ্গী করে আজ তিনি দাঁড়িয়েছেন সাফল্যের শিখরে।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মন্থার ঝাপটা এবার বাংলায়! দমকা হাওয়া, বেলা গড়াতেই বৃষ্টিতে তোলপাড় হতে পারে এইসব জেলা
বর্তমানে পুরুলিয়ার আদ্রায় এক ঠিকাদারের অধীনে মুন্সি কাজ করেন চিরঞ্জিত। সংসারের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি কখনও দিনমজুর হিসেবে, আবার কখনও অন্যদের বক্সিং শেখিয়ে উপার্জন করেন তিনি। কিন্তু এত কষ্টের মাঝেও বক্সিং ছাড়েননি। চিরঞ্জিতের কথা, “আগামীদিনে তার স্বপ্ন রয়েছে ভারতের হয়ে খেলার। কিন্তু আর্থিক অসুবিধার কারণে সেই পথটা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে আজ তার কাছে। সংসার চালানোর পাশাপাশি, বক্সিংয়ের সরঞ্জাম কেনা থেকে শুরু করে প্রতিদিনের নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা, সবকিছুর খরচই অনেক। সরকারি সাহায্য পেলে আরও ভালভাবে অনুশীলন করে দেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারবে বলে আশাবাদী চিরঞ্জিত।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চিরঞ্জিতের এখন একটাই আশা, সরকারি সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে একদিন ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বক্সিং রিংয়ে লড়াই করবেন তিনি এবং দেশের পতাকা উড়াবেন গর্বের সঙ্গে।





