মনীন্দর বেঙ্গালুরুর ৬ জনকে ছুঁয়ে থাকা অবস্থায় মাঝের দাগ পর করে দেন হাত দিয়ে। একবারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে অল আউট করে দেন বেঙ্গালুরু বুলসকে। কিন্তু প্রথম অর্ধ শেষ হওয়ার আগেই বেঙ্গালুরু ম্যাচে ফিরে আসে এবং ১৮-১৭ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে অর্ধ শেষ করে। পবন বেঙ্গলের কোর্টে ঢুকে তিনজনকে আউট করে আবার বেঙ্গলকে অল আউট করেন।
advertisement
মাঝে একবার শক্তির প্রদর্শনও দেখান মনীন্দর, ধাক্কা মেরে কোর্ট থেকে বার করে দেন পবনকে। তার বদলা নিয়ে একটি ডু ওর ডাই রেডে মনীন্দরকে আউট করে পরক্ষণেই। মনীন্দর আরেকটি সুপার ১০ পূর্ণ করলেন। দ্বিতীয়ার্ধে ঠিক এভাবেই টানটান উত্তেজনা বজায় থাকল। বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স খুব দ্রুত সমতায় ফিরিয়ে আনে নিজেদের।
কিন্তু আবার ২৪-২০ তে লিড নিয়ে নেয় বেঙ্গালুরু বুলস। আবার একটি সুপার টেন করলেন পবন। কোচের পরামর্শ মেনে নবীন বেঙ্গলের কোর্টে আবার অল আউট করে দিল। ২৮-২১ এ এগিয়ে গিয়েছিল তখন বেঙ্গালুরু। আবার এক পয়েন্ট করে ম্যাচে ফিরতে থাকে বেঙ্গল, ৩১-৩০ এ পিছিয়ে থেকেও অল আউট করে দেয় বেঙ্গালুরুকে।
ম্যাচে কখনও পাল্লা ভারী বেঙ্গলের কখনও বেঙ্গালুরুর। ৫০ সেকেন্ড বাকি থাকতেও ৩৩-৩৩ এ সমতায় ছিল ম্যাচ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রেড করে দুই পয়েন্টে এগোয় বেঙ্গালুরু। দু পয়েন্টের জন্য বেঙ্গালুরুর কোর্টে ঢুকে মাত্র এক পয়েন্টেই ফিরতে হল বেঙ্গলকে। ৩৬-৩৫ এ ম্যাচ বার করে নেয় বেঙ্গালুরু বুলস।
গুজরাত জায়ান্টস এবং দাবাং দিল্লির একটি একঘেয়ে ম্যাচ শেষ অবধি ড্রতেই শেষ হল, স্কোর হল ২৪-২৪। প্রো কবাডি লিগ ২০২১এর পঞ্চম দিনের প্রথম ম্যাচে নবীন কুমার দাবাং দিল্লির হারা ম্যাচ বাঁচায়। তিনি দিল্লির হয়ে একাই ১১ পয়েন্ট তোলেন এবং এই মরসুমের ৩টি ম্যাচেই ১০ এর বেশি পয়েন্ট তোলেন তিনি। গুজরাত জয়ান্টস রেড থেকে মোট ১৫ এবং দিল্লি ১৬ পয়েন্ট তোলে। গুজরাতের রাকেশ নারোয়াল ৯ পয়েন্ট তোলেন।