আবার জাতীয় দলে কামব্যাক সম্ভব কিনা প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। কিন্তু নিজের উপরে বিশ্বাস হারাননি প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। মন দিয়ে ট্রেনিং করেছেন। বিজয় হাজারে টুর্নামেন্টে খেলেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে নয় উইকেট তুলে নিয়ে সিরিজের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। স্বাভাবিকভাবেই প্রচন্ড খুশি। তবে উত্তেজিত হতে নারাজ।
advertisement
পুরস্কার নিতে গিয়ে বেঙ্গালুরুর ছেলে জানালেন, একজন ফাস্ট বোলারের জীবন অন্য ক্রিকেটারদের থেকে তুলনায় কঠিন। শেষ এক বছর নিজেকে নতুন করে তৈরি করেছি। রাজ্য দলের হয়ে যত বেশি ম্যাচ খেলা সম্ভব চেষ্টা করেছি খেলে যাওয়ার। বিজয় হাজারে খেলেছি। বলের গতি কিছুটা বেড়েছে। বাউন্স আদায় করছি। আমি জানতাম এই সিরিজে আমি ছন্দে থাকব।
কটা উইকেট পাব, সেটা আমার হাতে ছিল না। কিন্তু সাফল্য পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম। একজন ফাস্ট বোলার হিসেবে উপভোগ করি যখন আমার বলে বিপক্ষ ব্যাটসম্যান খোঁচা দিয়ে উইকেট এর পেছনে আউট হন। এটা আমাকে আরও ভাল বল করতে উদ্বুদ্ধ করে। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে চারটি উইকেট নেওয়ার পর মনে হয়েছিল যেটা চাইছি, সেটা করতে পারছি।
ফাস্ট বোলার হিসেবে যে ছন্দ প্রয়োজন, সেটা ফিরে পেয়েছি। অধিনায়ক রোহিত শর্মার সমর্থন পেয়েছি। সিরাজ, দীপক চাহারদের সাহায্য পেয়েছি। আমি জানি বুমরাহ, শামির মত ফাস্ট বোলার দলে থাকায় আমার পক্ষে জায়গা করা সহজ নয়। তাই এই সুযোগ দুহাত পেতে নিয়েছি।
আশা করি নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে পারব। যদিও কলকাতায় টি টোয়েন্টি সিরিজে তিনি নেই। পরের বছর দেশের মাটিতে একদিনের বিশ্বকাপে তাকে রেখেই প্ল্যানিং করবে বিসিসিআই। রোহিত শর্মা নিজে জানিয়েছেন তিনি প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর কত বড় ভক্ত।