কৌশলের কারণে রোনালদোকে শুরু থেকে না খেলাতে পেরে হতাশ তিনি নিজেও।
ম্যাচ শেষে সে হতাশা লুকাননি সান্তোস, দলের স্বার্থে আমি আমার মনের কথা শুনতে পারি না, আমাকে মাথা দিয়ে ভাবতে হবে। এই হারে সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছে, এমন দুজন ব্যক্তিকে যদি বেছে নিতে হয়, তাহলে তার একজন আমি, অন্যজন রোনালদো। অবশ্যই আমরা খুবই হতাশ।
advertisement
আরও পড়ুন - বিরাট অনুষ্কার বিয়ের জন্মদিন! পঞ্চম বর্ষে অনন্ত ভালোবাসার শপথ কিং কোহলির
কিন্তু কোচ ও ফুটবলারদের কাজটাই এমন। সান্তোসের দিকেও রোনালদোকে শুরু থেকে না খেলানো নিয়ে প্রশ্ন ধেয়ে আসে। সে প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য সান্তোস বলেছেন, আমার মনে হয় না রোনালদোকে শুরু থেকে খেলালে ম্যাচের ফল বদলে যেত। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে এই দলটাই দারুণ ফুটবল খেলেছে। রোনালদো দুর্দান্ত একজন ফুটবলার।
সে তখনই মাঠে নেমেছে, যখন আমরা তার প্রয়োজন অনুভব করেছি। এ নিয়ে আমার কোনো অনুশোচনা নেই। আসলে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ কিছুকে ভয় পাবেন না সেটাই স্বাভাবিক। এমনিতেই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পর্তুগালের এই ফুটবল কোচ। তবে রোনাল্ডোর সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি যারা বলছেন তাদের মিথ্যে কথা রটাতে বারণ করেছেন বৃদ্ধ কোচ।
শুধু বলেছেন দলের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। জিতে গেলে অন্য কথা হত। ক্রিশ্চিয়ানো এবং আমার সম্পর্ক চিরকাল ভাল থাকবে। সান্তোস জানিয়েছেন ফুটবলে আবেগ কম যৌক্তিকতার জায়গা বেশি। পর্তুগাল ফুটবল ফেডারেশন চাইলে তাকে সরিয়ে দিতেই পারে, কিন্তু নিজের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল মানতে রাজি নন।