আরিবির বিজয় মিছিলের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সকাল থেকেই হাজার হাজার সমর্থক স্টেডিয়ামের চারপাশে জড়ো হতে শুরু করেন। যদিও পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সতর্কবার্তা দিয়ে ভক্তদের সংগঠিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছিল, এবং খোলা বাসে মিছিল না করার আহ্বান জানিয়েছিল। প্যারেড বাতিল হওয়া সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
advertisement
ডেকান হেরাল্ড প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরসিবি ম্যানেজমেন্ট ও রাজ্য সরকারকে বুধবার কোনো অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আমরা বলেছিলাম এটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। পরামর্শ দিয়েছিলাম যেন অনুষ্ঠান রবিবার করা হয়, যখন আবেগ একটু ঠান্ডা হবে। তা আরসিবি কর্তারা শোনেননি।”
তবে আইপিএলের সময়সূচি ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের কারণে এক সপ্তাহ পিছিয়ে যাওয়ায় এবং বিদেশি খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফিরে যাওয়ার তাড়ায় আরসিবি কর্তৃপক্ষ বুধবারই মিছিলের সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারের পক্ষ থেকেও অনুষ্ঠানে অনুমতি দেওয়া হয়। ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, “আমাদের সব কর্মী—কমিশনার থেকে কনস্টেবল—সকাল পর্যন্ত রাস্তায় ছিল। এমন উন্মাদনা আগে কখনো দেখিনি।”
আরও পড়ুনঃ Virat Kohli: উৎসব পরিণত মৃত্যুমিছিলে!চিন্নাস্বামীর ঘটনায় মুখ খুললেন কোহলি, কী বললেন বিরাট
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা গোটা শহরকে শোকাহত করেছে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার যথার্থতা নিয়ে। শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। আরসিবির স্বপ্নের সাফল্যে ক্ষত হয়ে থেকে গেল এই মর্মান্তিক ঘটনা।