১৯৩০ সাল থেকে, ব্রিজ খেলাটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রিয় তাস খেলাগুলির মধ্যে একটি হিসেবে অতুলনীয় স্থান দখল করে আছে৷ এর জনপ্রিয়তার কোন সীমা নেই এবং এটি বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত জনপ্রিয় | ব্রিজ খেলায় অংশ নেওয়া চারজনের মধ্যে দুটি টিম তৈরি করা হয়, প্রতি দলে দুজন করে থাকে | সম্পূর্ণ বুদ্ধির একটি খেলা এটি |
advertisement
ব্রিজকে লজিকের খেলা, মগজাস্ত্রের লড়াই হিসেবে তুলে ধরেছিলেন এশিয়ান গেমসের সোনা জয়ী খেলোয়াড় শিবনাথ দে সরকার৷ এশিয়ান পর্যায়ে সোনা জেতার পর শিবনাথ চেয়েছিলেন এই সাফল্যকে খেলার প্রসারে ব্যবহার করতে, তাই এই পদক্ষেপ৷ সংবর্ধনা, উত্তরীয়, আর্থিক পুরস্কার, খেলাশ্রী পেয়েছিলেন অনেক কিছু৷ কিন্তু সেটাতেই থেমে থাকতে চাননি তিনি, চেয়েছিলেন একটু জায়গা, যাতে নিজের অ্যাকাডেমিতে আগামী দিনের সাফল্যের বীজ বুনতে পারেন৷ আন্তর্জাতিক স্তরে দেশকে গর্বিত হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারেন৷ চোখে ছিল স্বপ্ন, মনে ছিল আশা৷ হাওড়ার সালকিয়ার শিবনাথের বাড়িতে অনেক দিন ধরেই নিয়মিত বসে ব্রিজ শেখানোর আসর-ছাত্রের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে |
হাওড়ায় এই প্রথম আধুনিক প্রক্রিয়ায় হয় দুইদিন ব্যাপী ব্রিজ খেলা প্রতিযোগিতা চালু করলেন শিবনাথ দে সরকার৷ বাংলার জুনিয়র প্লেয়ার যাঁরা যাঁরা আগামীদিনে ব্রিজ খেলায় দক্ষ হয়ে দেশকে সম্মান এনে দিতে পারবে। প্রবীন বা অভিজ্ঞ প্লেয়ারদের সঙ্গে খেললে তাঁরা বুঝতে পারবে তাদের খামতি কোথায়, আরও কীভাবে নিজের খেলার প্রতি আরও উন্নতি করা যায় তার জন্য এই টুর্নামেন্টের আয়োজন |শনিবার অর্থাৎ ১২ এপ্রিল ১২৮ জন অংশগ্রহণ করেছে৷ ১৩ তারিখ আরও ২৪০ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে৷ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা হলদিয়া, মেদিনীপুর, দুর্গাপুর, আসানসোল, শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন জেলা থেকে অংশগ্রহণ করেছিল৷ এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে ট্রফি সঙ্গে কিছু ক্যাশ প্রাইজও তুলে দেওয়া হয়৷
শিবনাথ বাবুর কথায়,এশিয়ান স্তরে ভারত একসময় সেরা ছিল | কিন্তু এখন ভারতকে টপকে এগিয়ে আসছে অন্য দেশগুলিও, বাঙালির তো একসময় হাতের মুঠোয় ছিল তাস খেলা, কিন্তু এখন তা শূন্যে নেমে এসেছে৷ এগোচ্ছে না তো বটেই, বরং পিছিয়ে যাচ্ছে৷ খেলার জায়গা নেই, টুর্নামেন্টের জায়গা নেই, আগামী দিনে হাওড়া থেকে আরও ব্রিজ খেলোয়াড় তৈরির সঙ্গে ভারতীয় ব্রিজ টিমের কোচ হয়ে দেশ এবং বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার লক্ষ্যে রয়েছে তিনি।
Rakesh Maity