সাউদি, বোল্ট, সোধী - কোনও নিউজিল্যান্ড বোলাররা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারলেন না পাকিস্তানের দুজন ব্যাটসম্যানকে। দেখে মনে হচ্ছিল বাবর এবং রিজওয়ান ছেলে খেলা করছেন ব্ল্যাক ক্যাপসদের নিয়ে। ইচ্ছে মতো খেলছেন। পুরো মাঠেই আজ পাকিস্তানি সমর্থকদের সেলিব্রেশন ছিল দেখার মত।
আরও পড়ুন- ৯ জন ক্রিকেটার অবিবাহিত! পাকিস্তান টিমে এখনও বিয়ে করেননি কারা!
advertisement
১৩ বছর পর আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে পাকিস্তান। প্রায় ছিটকে যেতে বসা একটা দল যেভাবে স্বপ্নের কামব্যাক ঘটিয়ে কাপ জেতার দাবিদার হয়ে উঠল, তাতে তাদের প্রশংসা করতেই হয়। টস জিতে প্রথম সেমিফাইনালে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন কেন উইলিয়ামসন, তখন মনেই হয়েছিল শক্তিশালী পাকিস্তানি বোলিং লাইন আপের বিপক্ষে বড় রান করতে মরিয়া হবে কিউয়িরা।
কিন্তু প্রথম ওভারেই এলবিডব্লিউ শাহিনের বলে ফিরে গেলেন ফিন অ্যালেন (৪)। এরপর কোনওয়ে ( ২১) খেলাটা ধরে ফেললেও শাদাব খানের ডিরেক্ট হিটে ফিরে গেলেন। চূড়ান্ত ফ্লপ গ্লেন ফিলিপস (৬)। নওয়াজের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হলেন। প্রথম ১০ ওভারের পর নিউজিল্যান্ডের রান ছিল ৫৯/৩। অধিনায়ক উইলিয়ামসন বড় শট খেলতে না পারলেও, সিঙ্গল এবং ডবল নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন।
দেখেই মনে হচ্ছিল তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার। দ্যারেল মিচেল চেষ্টা করলেন অধিনায়ককে সহায়তা করতে। উইলিয়ামসন জানতেন আজ তিনি যত বেশিক্ষণ উইকেটে সময় কাটাবেন, ততই বড় রান তোলার পথে যেতে পারবে তার দল।