পাহাড়ি মানুষদের জীবনযাত্রায় মধ্যেই সংগ্রাম থাকে। মীরাবাঈ চানুকেও সেই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়েছে ছোট থেকে। একে তো ভৌগলিক অবস্থানের জেরে রোজকার জীবনযাত্রা হয়ে ওঠে বেশ পরিশ্রমের। তার উপর সংসারে অভাব অনটন। এসব সঙ্গে নিয়েই মীরাবাঈ বড়ল হয়েছেন। হাসিমুখে সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। জীবনের না পাওয়াগুলো তাঁর জেদের উপর প্রভাব ফেলতে পারেনি. তাঁর ফোকাস নড়াতে পারেনি। মীরাবাঈয়ের দাদা বলছিলেন, তাঁর ছোট বোন ৬-৭ বছর বয়স থেকেই বাড়ির জন্য কাঠ কুড়োতে যেত। সেখান থেকেই মীরাবাঈয়ের ওজন তোলার ট্রেনিং শুরু। তার পর সেই ওজন বইবার নেশাই তাঁকে এতদূর পৌঁছে দিল। গোটা দেশের প্রত্যাশার ওজন নিয়ে টোকিওয় গিয়েছিলেন। ফিরে এলেন রুপো জিতে।
advertisement
মণিপুরের নংপক কাকচিং গ্রামে ফিরেই নিজের পুরনো জীবনে ফিরেছেন মীরাবাঈ। আপাতত কিছুদিন তিনি বিশ্রামে। তার পর আবার ট্রেনিং। তবে এখনও ব্যস্ততা কম নয়। রোজই বাড়িতে কেউ না কেউ আসছে। না হলে যোগ দিতে হচ্ছে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। হাসিমুখে সবটাই করছেন পাহাড়ি মেয়ে। পরিবারের সঙ্গে চুটিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। এমনকী ভাত, ডাল, শাক, সবজি নিয়ে মাটিতেই পাত পেতে বসে পড়েছেন অলিম্পিকে রুপোজয়ী ভারোত্তোলক। এমন ছবি দেখে অনেকেই অবাক। ইতিমধ্যে অ্যাডিশনাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ পদে যোগ দেওয়ার ডাক এসেছে। ফলে কিছুদিন পর থেকেই হয়তো কর্মব্যস্ততাও শুরু হবে। তবে সেসবের আগে এখন প্রাণ ভরে বাঁচতে চাইছেন মীরাবাঈ। একেবারের মণিপুরের পাহাড়ি গ্রামের সাধারণ মেয়ে হয়ে।