গ্র্যান্ডমাস্টার হতে গেলে একজন দাবাড়ুকে তিনটি জিএম নর্ম ও ২৫০০ রেটিং অর্থাৎ এলো পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হয়। সার্বিয়ার নোভি সাদে আয়োজিত প্রতিযোগিতার নবম রাউন্ডে সে দেশের গ্র্যান্ডমাস্টার নিকোলা সেডলাককে পরাজিত করেন মিত্রাভ। তারপরই গ্র্যান্ডমাস্টার তকমা পান তিনি। সাত দিন আগেই বাংলাদেশের ঢাকায় দ্বিতীয় নর্ম পেয়েছিলেন মিত্রাভ।
আরও পড়ুন : মরণ-বাঁচন ম্যাচে দুরন্ত জয়, সৈয়দ মুস্তাক আলির নক-আউটে বাংলা
advertisement
সার্বিয়ার টুর্নামেন্ট শুরুটা ভাল করেন মিত্রাভ। দু’টি ড্র এবং একটাও না হেরে ৬-এর মধ্যে ৫ পয়েন্ট পেয়ে যান মিত্রাভ। তার পর ছন্দপতন হয়। তিনি হেরে যান। তবে শেষ দুটো ম্যাচ জিতে নর্ম পেয়ে যান মিত্রাভ। ২৫০০ রেটিং টপকে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছে যান। এই কৃতিত্বের জন্যে মিত্রাভকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সর্বভারতীয় দাবা সংস্থা।
আরও পড়ুন : মোহনবাগানকে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করা ছাড়া দ্বিতীয় টার্গেট নেই ইউরো খেলা জনির
বাংলা থেকে ২০১৬ সালে শেষ বার দাবায় গ্র্যান্ডমাস্টার হয়েছিলেন দীপ্তায়ন ঘোষ। তার পর পাঁচ বছর পর ফের আর এক গ্র্যান্ডমাস্টার পেল বাংলা। সার্বিয়া থেকে নিউজ18 বাংলা-কে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মিত্রাভ বলেন, ‘‘করোনা ভাইরাসের কারণে গত দু'বছর একটু সমস্যা হয়েছিল। একাধিক টুর্নামেন্ট বাতিল হয়। হয়তো আগেই আমি গ্র্যান্ডমাস্টার হয়ে যেতাম। তবে গ্র্যান্ডমাস্টার হয়ে ভাল লাগছে। এই সাফল্য মা-বাবাকে উৎসর্গ করতে চাই। বাবার অধরা স্বপ্ন পূরণ করতেই আমার দাবা খেলা শুরু।"
আরও পড়ুন : রবি শাস্ত্রী কি কাঁদলেন? এমন কি কথা বললেন যে চোখে জল এল রোহিতদের!
মাত্র ৪ বছর বয়সেই দাবায় হাতেখড়ি মিত্রাভর। গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া কাছে দাবার শিক্ষা শুরু। পরবর্তী সময়ে অতনু লাহিড়ী-সহ বেশ কয়েকজন কোচের কাছে কাজের প্রশিক্ষণ নেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে সোহম দাসের সঙ্গে কাজ করতেন। চলতি বছরেই জাতীয় সিনিয়র অনলাইন দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা হয়েছিলেন মিত্রাভ গুহ। এর আগে এপ্রিল মাসেও নজরকাড়া সাফল্য পান বাংলার এই দাবাড়ু। বিশ্বের সেরা টাইটেল প্লেয়ারদের নিয়ে অনলাইনে একটি টুর্নামেন্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনকে দু’বার হারিয়ে দিয়েছিলেন মিত্রাভ।
