পাকিস্তানের কাছে শ্রীলঙ্কার ম্যাচ বদলার। কারণ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হেরেই এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছিল বাবর আজমদের। এছাড়া তার আগের বার এশিয়া কাপের ফাইনালেও লঙ্কান লায়ন্সদের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। এবার বিশ্বকাপের মঞ্চে এই দুই হারের বদলা নিতে মুখিয়ে রয়েছেন বাবর-শাহিন-শাদাবরা।
তবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নামার আগে পাকিস্তান দলকে কয়েকটি বিষয় চিন্তায় রেখেছে। এখনও রানের মধ্যে নেই দলের দুই ওপেনার ফকর জামান ও ইমাম উল হক। প্রথম ম্যাচে রান পাননি বাবর আজমও। মহম্মদ রিজওয়ান ও সউদ সাকিল রান না পেলে ডাচদের বিরুদ্ধে চাপ বাড়ত পাক দলের। তবে প্রথম ম্যাচে বোলারদের ফর্ম কিছুটা চিন্তামুক্ত রেখেছে পাকিস্তানকে।
advertisement
অপরদিকে, প্রথন ম্যাচে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল শ্রীলঙ্কার বোলিং অ্যাটাক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খরচ করেছিল ৪২৮ রান। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে রেকর্ড। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়াতে মরিয়া কাসুন রাজিথা, দিলশান মাদুশঙ্কা, মাথিসা পাথিরানা, দিনুথ ওয়ালালাগেরা। এউ ম্যাচে মাহিশ থিকসানা দলে ফিরলে অনেটা শক্তি বাড়বে শ্রীলঙ্কার।
তবে ৪২৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩২৬ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। টপ অর্ডারে পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল পেরেরা রান না পেলেও, মিডল অর্ডারে কুশল মেন্ডিস, চারিথ আসালঙ্কা, দাসুন শানাকারা বড় রান করেন। ফলে ব্যাটিং লাইের ফর্ম কিছুটা চিন্তা মুক্ত রাখতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আদে নিজেদের ভুল-ত্রুটির উপর কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা দল। দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ে ফিরতে মরিয়া লঙ্কান লায়ন্সরা।
প্রসঙ্গত, দুই দলের ব্যাটিং-বোলিং বিভাগের শক্তির তুলনা করলে অনেকটাই এগিয়ে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়ায় আত্মবিশ্বাসও ভাল জায়গায় রয়েছে বাবর আজমদের। অপরদিকে, লজ্জার হারের ধাক্কা সামলে ঘুড়ে দাঁড়ানোর লড়াই শ্রীলঙ্কার। সবদিক বিচার করে পাকিস্তানকেই অ্যাডভান্টেজ দিচ্ছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।