তবে, বিশ্বকাপের জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হওয়ার আগে নির্বাচক বা বিসিসিআই আধিকারিকদের নজর থাকবে আইপিএল-এর মঞ্চে কেমন পারফর্ম করতে পারেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা তার উপর। গত বছর টি-২০ বিশ্বকাপের পর ভারতীয় দলের জার্সিতে হোয়াইট বল ক্রিকেটে দেখা যায়নি শামিকে। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নির্ধারিত ওভারের ক্রিকেটে নির্বাচকদের এবং টিম ম্যানেজমেন্টের প্রথম পছন্দ নন শামি।
advertisement
নির্ধারিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের জার্সিতে তিনি শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে শামিকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা বললেও, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হোয়াইট বলের সিরিজে তাঁকে বাদ দেওয়ার কারণ দেখায়নি নির্বাচকরা। টি-২০ বিশ্বকাপের পর দেশের জার্সিতে পাঁচটি টেস্ট ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন মহম্মদ শামি।
জানা গিয়েছে, টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নির্বাচকরা পরিকল্পনা করছে প্রতি ফরম্যাটের জন্য বিশেষজ্ঞ বোলার তৈরি করতে। এই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে শামিকে। সব ফরম্যাটের বোলারদের প্রতিটা ফরম্যাটে সেরাটা দেওয়া সব সময়ে সম্ভব হয় না। একমাত্র জসপ্রীত বুমরাহ সব ফরম্যাটে পারফর্ম করে চলেছে। প্রতিটা ক্রিকেটারকে একটা পরিষ্কার ধারণা দেওয়াতে বিশ্বাস করে এই টিম ম্যানেজমেন্ট। শামির সঙ্গে কথা বলা হবে।
নয় বছরের কেরিয়ারে মাত্র ১৭টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছে মহম্মদ শামি। তাঁর ইকোনমি রেট ৯.৫৪। সূত্রের খবর, তাঁর ওডিআই কেরিয়ারের পরিসংখ্যান অনেক ভাল। এই আইপিএল অন্যতম পরীক্ষার মঞ্চ হতে চলেছে তাঁর জন্য। তিনি টি-২০ বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাবেন কি না, তা নির্ভর করবে শামির আইপিএল-এ পারফরম্যান্সের উপর। উনি নিজেও সেটি জানেন।
ভারতের টি-২০ লাইনআপের সেরা বোলারদের তালিকায় রয়েছেন শার্দূল ঠাকুর, দীপক চাহর, ভুবনেশ্বর কুমার, জসপ্রীত বুমরাহ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, মহম্মদ সিরাজ এবং আবেশ খান।