ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আইপিএল মানেই জুয়ার আসর। এমন কথা হামেশা বলে নিন্দুকরা। তবুও আইপিএলের জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি। একটা সময় ফিক্সিংয়ের দায়ে দুবছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসকে।
চলতি আইপিএলেও ফিরে এসেছে ফিক্সিং-এর কালো ছায়া! রটে গিয়েছে এমনটাই। তবে আসল ব্যাপার একটু আলাদা। এক বাস ড্রাইভারের ফোনে আইপিএলে তোলপাড়।
advertisement
আরও পড়ুন- অর্জুন তেন্ডুলকর কি সচিন-অঞ্জলির দত্তকপুত্র! চরম প্রশ্ন উসকে দিলেন সারা
কোনো পেশাদার জুয়াড়ি নন, আইপিএলে জুয়ায় আসক্ত এক বাসচালকের কাছ থেকে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান মহাম্মদ সিরাজ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর পেসারকে ফোন করে দলের ভেতরের তথ্য জানতে চেয়েছিলেন সেইউ বাসচালক।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, সিরাজের কাছে কোনও পেশাদার জুয়াড়ির আসেনি। তাই ব্যাপারটা ঠিক বেটিং সংক্রান্ত নয়। বিক্ষিপ্ত ঘটনা বলা চলে।
ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মার্চে ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীনই প্রস্তাব পান সিরাজ। এক অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে ফোন পান তিনি।
সেই ব্যক্তি নিজেকে বাসচালক বলে পরিচয় দেন। পেশাদার কোনো জুয়াড়ি নন তিনি। হায়দরাবাদের ওই বাসচালক আইপিএলের ম্যাচগুলোতে নিয়মিত জুয়া খেলেন। সম্প্রতি জুয়া খেলতে গিয়ে বহু টাকা ক্ষতি হয়েছে তাঁর।
এর পরই আসন্ন আইপিএলে আরসিবির অন্দরের খবর জানতে চেয়ে সিরাজকে ফোন করেন তিনি। সিরাজ এমন ফোন পেয়ে দ্রুত বিসিসিআইকে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- সচিনের ছেলের বলের গতি নিয়ে হাসাহাসি! পেসার হয়েও জোরে স্পিন করছেন?
পিটিআইর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যে বিসিসিআইর দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট (এসিইউ) তদন্ত শুরু করেছে। সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তবে বিসিসিআই এখনও এই নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের একজন সিনিয়র কর্তা পিটিআইকে বলেছেন, 'হায়দরাবাদের এক গাড়ি চালক এমন প্রস্তাব দিয়েছিল। সে আসলে জুয়ায় আসক্ত। এসব করে অনেক টাকা ক্ষতি হয়েছে তার।'
এস শ্রীশান্ত, অঙ্কিত চাভান, অজিত চান্ডিলা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই ফিক্সিং নিয়ে বাড়তি সতর্ক আকসু। আইপিএলে প্রতিটি দলের সঙ্গেই থাকেন আকসুর এক কর্তা। সবার গতিবিধি নজর রাখেন।