লখনউ-এর অটল বিহারী বাজপেয়ি স্টেডিয়াম সেজে উঠেছে চন্দননগরের আলোয়। চন্দননগরের আলোর সুখ্যাতি জগৎজোড়া। শুধু দেশ নয়, দেশের বাইরেও পাড়ি দিয়েছে চন্দননগরের আলো। প্রাক্তন ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর থেকে বলিউড অভিনেতা বিগ বি অমিতাভ বচ্চনও চন্দননগরের আলোর সুখ্যাত করেছিলেন।
শুরু হয়েছে পৃথিবীর সব থেকে বড় ক্রিকেট লিগ- আইপিএল। গত বুধবার চন্দননগরের আলোকশিল্পী কৌশিক যাদব ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আলোর বরাত পান। তার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে চন্দননগরের আলো পৌঁছে গিয়েছে লখনউয়ের অটল বিহারী বাজপেয়ি একনা স্টেডিয়ামে।
advertisement
আরও পড়ুন- কুকিং প্যান দিয়ে মাথায় আঘাত করেছিলেন বিনোদ কাম্বলি! তা সত্ত্বেও ছেড়ে যাননি স্ত্রী
গত রবিবার চন্দননগরের ১২ জন আলোক শিল্পী পৌঁছে যান স্টেডিয়ামে। সেখানে ১০ ফুট বাই ১৬ ফুটের পিক্সেল অলো লাগানো হবে একনা স্টেডিয়ামে। আলোর মাধ্যমে সাতটি রংকে ফুটিয়ে তোলা হবে। স্টেডিয়ামের মাথার উপর লাগানো থাকবে এই আলো। যাতে লেখা থাকবে “HOME OF LUCKNOW SUPER GIANTS”।
একইসঙ্গে মাঠে ৪-৬ মারার সঙ্গে বদলে যাবে আলোর ছটা। সেই মোতাবেক বিভিন্ন রান হওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম আলো। আউট হলে অন্যরকম আলো, কোনও টিম জিতলে আলো কেমন হবে, সেসবের কাজ করেছেন চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা। বরাত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রায় ৪৫ জন চন্দননগরের আলোর শিল্পী এই কাজ সম্পূর্ণ করেন।
একজন সুপারভাইজার-সহ ১২ জন শ্রমিক লখনউ-এর স্টেডিয়ামে গেছেন আলো লাগানোর জন্য। অতি দ্রুততার সঙ্গে তিনদিনে এই কাজ সম্পন্ন করেছে চন্দননগরের রাজা ইলেকট্রিকের শ্রমিকরা। আলোক শিল্পী কৌশিক যাদব বলেন, চন্দননগর থেকে আমাদের আলো পৌঁছে গেছে লখনউ- এর অটলবিহারী বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে। আজ থেকে পাঁচ দিন আগে আমরা একটি বরাত পাই, যা লখনউ স্টেডিয়াম থেকে ই-মেইল ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদের কাছে এসে পৌঁছয়। কাজটা করতে আমাদের তিন দিন সময় লেগেছে। কাজের মোট বাজেট সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা। এর আগে রাজস্থান দিল্লি বোম্বে গুজরাট সহ বিভিন্ন জায়গায় করেছি। এর এছাড়া রাম মন্দির, আইএসএল-সহ বিভিন্ন জায়গায় আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে।