একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন রাহুল প্রতিদিন নিজেকে ব্যাটসম্যান হিসেবে উন্নত করে চলেছেন। যখনই সুযোগ পেয়েছে, নিজেকে প্রমাণ করেছে। ইংল্যান্ড সফরে লর্ডসে অসাধারণ শতরান করেছিল। গোটা ইংল্যান্ড সিরিজে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় সেঞ্চুরিয়নে দুর্ধর্ষ শতরান এল কে এল রাহুলের ব্যাট থেকে।
advertisement
আরও পড়ুন - India vs South Africa: 1st Test: আগুনে রাবাদা, এনগিদি, ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ ৩২৭ রানে
বিদেশের মাঠে এমন ধারাবাহিকতা দেখানোর ক্ষেত্রে গাভাসকরের পেছনেই আছেন রাহুল। তার সাত টেস্ট সেঞ্চুরির মধ্যে, ছয়টি বিদেশের মাটিতে। শুধু টেস্ট ক্রিকেট নয়, টি টোয়েন্টি এবং একদিনের ক্রিকেটেও সমান সফল রাহুল। গাভাসকার মনে করেন তিনটি ফরম্যাটেই রান পাওয়া প্রমাণ করে রাহুল কত উঁচু দরের ব্যাটসম্যান। আইপিএলে পঞ্জাবের অধিনায়ক হিসেবে প্রচুর রান করেছেন।
ফাস্ট বোলার এবং স্পিনার দুটোর বিরুদ্ধেই সমান দক্ষ। সামনের এবং পেছনের পায়ে সমান শক্তিশালী। ব্যাকরণ মেনে শট খেলেন। দেখে মনে হয় না একেবারেই চাপে আছেন। স্লগ শট খেলার প্রয়োজন নেই কারণ রাহুলের হাতে সব ধরনের ক্রিকেটীয় শট মজুত আছে। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ঘন্টা বোলারদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত একজন বড় ব্যাটসম্যানের। তারপর ব্যাটিং অনেক সহজ হয়ে যায়।
ক্রিকেটের এই ফরমুলা মেনে কে এল রাহুল সফল। অফ স্টাম্পের বাইরে লোভনীয় বল পেলেও ড্রাইভ না করে টানা ছেড়ে গিয়েছেন। এমনকি শতরান করার মুখে বড় শট খেলার লোভ দেখিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। কিন্তু বিপক্ষের ফাঁদে পা না দিয়ে রাহুল বুদ্ধি করে আসন লক্ষ্য হাশিল করেছেন।
মানসিকতার দিক থেকে যেটা একজন উন্নত ক্রিকেটারের ট্রেডমার্ক। সুনীল গাভাসকার মনে করেন আপাতত ক্রিকেট ক্যারিয়ারে যেটুকু রাস্তা অতিক্রম করেছেন কে এল রাহুল, সেটা ধরে রাখতে পারলে আগামীদিনে ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ থাকবে কর্নাটকের এই স্টাইলিশ ব্যাটিং তারকার সামনে।রাহুলের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুলের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন সচিন।