#জোহান্সবার্গ: রবিবার বক্সিং ডে টেস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিরাট কোহলি ভাগ্য সঙ্গ দিল। সাধারণত ক্যাপ্টেন কোহলির টস ভাগ্য ভাল নয়। বেশিরভাগ সময় হারতে হয়। কিন্তু আজ টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন ভারত অধিনায়ক। সেঞ্চুরিয়ান সুপারস্পোর্ট পার্কে দুই ওপেনার মায়ানক আগারওয়াল এবং কে এল রাহুল প্রথমটা দেখেশুনে শুরু করলেন। দুজনেই জানতেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটে প্রথম ১৫ ওভার মানিয়ে নিতে পারলে, উইকেটের গতি এবং বাউন্স একবার বুঝে নিতে পারলে, তারপর ব্যাটিং সহজ হয়ে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন -Pro Kabaddi League: মাত্র ১ পয়েন্টের ব্যবধানে জিতল ইউপি যোদ্ধা, পুনেরি পল্টন! জয় জয়পুরের
সেটাই করলেন দুজনে। রাবাডা, লুঙ্গি এনগিদি, বাঁহাতি পেসার মার্কো জেনসেন এবং চতুর্থ পেসার মুল্ডার নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করলেন ভারতীয় ওপেনারদের বিব্রত করার। মার্কোর বলে আগারওয়ালের ক্যাচ মিস করলেন ডি কক। রান তোলার ব্যাপারে এগিয়েছিলেন আগারওয়াল। তুলনায় রাহুল একটু ধরে ব্যাটিং করছিলেন। দুজনেই অফ স্টাম্পের বাইরে দেখেশুনে বল ছাড়ছিলেন। যত সময় গেল তত প্রভুত্ব বিস্তার করলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।
পিচ যে প্রচন্ড দ্রুতগতির ছিল এমন নয়। কিন্তু বল লেট মুভমেন্ট করছিল। যেকোনো টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে প্রথম দিনের বিশেষ করে প্রথম সেশনের শুরুটা ভাল হওয়া দরকার। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সেটা করে দেখিয়েছে ভারত। বিশেষ করে রাহুল-ময়াঙ্ক দীর্ঘদিনের বোঝাপড়া। ভারতীয় দল ছাড়াও কর্নাটকের হয়ে খেলার সুবাদে একে অপরকে গাইড করতে পারেন।
খেলার প্রথম দু'ঘণ্টা দেখে যেটুকু বোঝা যাচ্ছে, ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা নিজের থেকে ভুল না করলে প্রথম ইনিংসের পর আর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে হবে না ভারতকে। মোটামুটি ৫০০ রান তুলতে পারলেই দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যাবে। তাদের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ডি ভিলিয়ার্স এবং ফাফ ডু প্লেসি না থাকায় ব্যাটিং লাইনআপ আগের থেকে দুর্বল।