ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান। আর সেই সিদ্ধান্তই বুমেরাং হয়ে যায়। ইনিংসের শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন সানরাইজার্সের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও ট্রেভিস হেড। অভিষেক ১১ বলে ২৪ রান করে ফিরলেও মারকাটারি ব্যাটিং জারি রাখেন হেড। তাঁকে সঙ্গ দিতে নেমে ঈশান কিশানও তাণ্ডব চালান। ট্রেভিস হেড ৩১ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হন।
advertisement
অপরদিকে, এই ম্যাচ ঈশান কিশানের কাছে নিজেকে প্রমাণ করার লড়াই। শুরু থেকেই রাজস্থান বোলারদের নিয়ে ছেলে খেলা শুরু করেন তিনি। ৪৫ বলে সেঞ্চুরি করেন বাঁ হাতি তরুণ ব্যাটার। ষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ১০৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ঈশান কিশান। ১১টি চার ও ৬টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। এছাড়া ৩১ বলে ৬৭ করেন ট্রেভিস হেড। নীতিশ রেড্ডি ১৫ বলে ৩০, হেনরিক ক্লাসেন ১৪ বলে ৩৪ রান করেন। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রানের পাহাড় প্রমাণ স্কোর করে হায়দরাবাদ। যা আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটাই ভাল হয়নি রাজস্থান রয়্যালসের। ২৪ রানের মধ্যেই দলের দুই তারকা ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল ও রিয়ান পরাগ আউট হয়ে যান। রান পাননি নীতিশ রানাও। রাজস্থানের হয়ে ইনিংসের রাশ ধরেন সঞ্জু স্যামসন ও ধ্রুব জুরেল। ঝোড়ো ব্যাটিং করেন দুজনেই। তাদের ব্যাটিংয়ে কিছুটা হলেও আশা জেগেছিল রাজস্থান ফ্যানেদের। ১১১ রানের পার্টনারশিপ করেন সঞ্জু ও জুরেল।
আরও পড়ুনঃ যে দল নায়ক বানাল তাদেরই হুঙ্কার! কেকেআরকে এমন কথা বললেন সল্ট, যা আগে কেউ বলেনি
কিন্তু দলের ১৬১ রানে পরপর দুজনই আউট হন। ৩৭ বলে ৬৬ রান করেন সঞ্জু স্যামসন ও ৩৫ বলে ৭০ রান করেন ধ্রুব জুরেল। কিন্তু দুই তরুণের লড়াকু ব্যাটিং শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি। এরপর শেষের দিকে শিমরন হেটমায়ার ও শুভম দুবে মারকাটারি ব্যাটিং করলেও দলের জয় এনে দিতে পারেননি। ২৩ বলে ৪৩ রান করে আউট হন হেটমায়ার ও ১১ বলে ৩৪ করে অপরাজিত থাকেন শুভম দুবে। ৪৪ রানে ম্যাচ জেতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।