আরও পড়ুন - একেবারে শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপের দলে দুটি পরিবর্তন করল বাংলাদেশ, এলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান
সপ্তমবারের জন্য মহাদেশীয় খেতাব জিতে রেকর্ড গড়াই লক্ষ্য ভারতীয় মহিলা দলের। তাৎপর্যের হল, হরমনপ্রীত ও স্মৃতি মান্ধানার বিশেষ অবদান ছাড়াও ফাইনালে উঠেছে দল। দারুণ প্রশংসিত হচ্ছে ভারতের ব্যাটিং ইউনিট। সিলেট স্টেডিয়ামের মন্থর পিচে দীপ্তি শর্মা, রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়, স্নেহ রানার স্পিন বোলিংও প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলছে।
advertisement
ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীতের কথায়, ‘আমরা এখন আর কোনও এক-দু’জনের উপর নির্ভরশীল নই। দল হিসেবে খেলেই সাফল্য আসছে। আশা করি, ফাইনালেও সেই ধারা বজায় থাকবে।’ টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলংকা। কিন্তু প্রথম থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকল তারা।
স্কোরবোর্ড দেখলে ফোন নম্বর মনে হবে। অধিনায়ক চামারি আতাপত্তু (৬), সঞ্জীবনী (২), হর্ষিতা (১), নিলাক্ষী (৬), হাদিনি (০), কাবিশা (১) শুধু এলেন আর গেলেন। এর মধ্যে দুটো রান আউট। তিনটি উইকেট নিলেন রেনুকা ঠাকুর। রাজেশ্বরী গায়কোয়ার দুটি, স্নেহ রানা দুটি উইকেট নিলেন। একটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে এরকম জঘন্য ব্যাটিং এর আগে কোনও দল করেছে কিনা সন্দেহ।
আসলে ভারতের দুর্দান্ত বোলিং এবং ফিল্ডিং এর কাছে প্রথম থেকেই চাপে পড়ে যায় লঙ্কা। ভারতের মেয়েরা ইঞ্চির জন্য নিঃশ্বাস নিতে দেয়নি প্রতিপক্ষকে। ফলে যা হওয়ার তাই হল। দেখে মনে হচ্ছিল শ্রীলংকার মহিলা দল এর আগে কোনদিনও ব্যাট ধরেনি। আসলে ফাইনালের চাপ তারা নিতে পারেনি।
মিডল অর্ডারে এমন কাউকে পাওয়া যায়নি যে খেলাটা ধরবে। একেবারে আত্মসমর্পণ করল দ্বীপ রাষ্ট্রের মেয়েরা। এটা শুধু ভারতের মেয়েদের কাছে ম্যাচ প্র্যাকটিসে পরিণত হয়েছে। দেখার ছিল অন্তত ৫০ রান তুলতে পারে কিনা লঙ্কা।