ভারতীয় দলের অধিনায়ক সুর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে এই টুর্নামেন্টে তিনটি ম্যাচে দলের ব্যাটিং শক্তি বেশ ভালই কাজ করেছে। পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহের বিরুদ্ধে ছোট লক্ষ্য সহজেই পূরণ করায় ভারতের ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। অভিষেক শর্মা দ্রুত শুরু কছেন, তবে শুভমন গিলের ক্রিজে আরও সময় কাটানো প্রয়োজন। এছাড়া তিলক বর্মা ও হার্দিক পান্ডিয়া, সঞ্জু স্যামসন, শিবম দুবে ও অক্ষর প্যাটেলকেও এই ম্যাচে সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
advertisement
ওমানের পক্ষ থেকে তাদের ব্যাটিং বিভাগ এখনও আস্থা অর্জন করতে পারেনি। পাকিস্তান ও ইউএইয়ের বিরুদ্ধে ওমানের খেলোয়াড়দের কেউই ৩০ রানের বেশি ইনিংস খেলতে পারেনি। হাম্মাদ মিরজা ও আর্যন বিস্ট তাদের সর্বোচ্চ রান করেছে, তবে তা দলের জন্য যথেষ্ট নয়। ওমানের তরুণ দল চেষ্টা করবে এই ম্যাচে নিজের সেরাটা দেওয়ার।
ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর খুব বেশি পরিবর্তন না করলেও, জসপ্রীত বুমরাহকে বিশ্রাম দেওয়ার পরিকল্পনা হতে পারে। বুমরাহ পাক-ম্যাচে চার ওভার বল করার পর বিশ্রামে ছিলেন, তাই তার সতর্কতার স্বার্থে তাকে এই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। দলের বোলিং বিভাগে অর্শদীপ সিং ও হর্ষিত রানাকে সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে বরুণ চক্রবর্তী বা কুলদীপ যাদের মধ্যে কাউকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে।
একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের পিচ, যেখানে ভারত এই টুর্নামেন্টে প্রথমবার খেলবে। আবুধাবিতে অনুশীলনের সুযোগ না পাওয়ায় ভারতীয় দল পিচের আচরণ বুঝতে কিছুটা সমস্যায় পড়তে পারে। এই কারণে উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ও মাঠ পরিস্থিতি বুঝতে ব্যাটসম্যানদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ IND vs PAK: রবিবার ফের ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ‘যুদ্ধ’! তার আগে আবারও হুঁশিয়ারি পাক অধিনায়কের
ভারত-ওমান ম্যাচের ফলাফল নির্ভর করবে ব্যাটিং ও বোলিং বিভাগে কতটা কার্যকর দল। ভারতীয় দল তাদের শক্তিশালী বোলিং দিয়ে ওমানের ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলবে। একই সঙ্গে ওমানও তাদের সীমিত সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জেতার জন্য লড়াই করবে। এই ম্যাচ থেকে সুপার ফোরে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি হিসেবে ভারতীয় দল ভালো কিছু শিক্ষা নিতে পারবে।
