হরভজন সিং কে পেছনে ফেললেন। দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের মাটিতে ৩০০ উইকেট ( second Indian bowler 300 test wickets in India) দখল করলেন। দেখিয়ে দিলেন অতীতে ইংল্যান্ডে টেস্ট ক্রিকেটে তাকে বাইরে বসিয়ে রেখে ইগোর লড়াই দেখিয়ে ভুল করেছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। যদিও তারা দেশের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বল হাতে দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন তিনি।
advertisement
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ব্যাট হাতে অশ্বিন এবং হনুমা বিহারী বাঁচিয়েছিলেন ভারতকে। শরীরে বাউন্সার খেয়েছিলেন। কিন্তু তাও বিরাট এবং রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri) যুগে তিনি যেন কিছুটা দুয়োরাণীর সন্তান ছিলেন। কিন্তু টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলে কামব্যাক বুঝিয়ে দিয়েছিল অশ্বিন নিয়ে বিরাটের একার সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না বোর্ড। আর ভারতের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটে তিনি বরাবরের পরিত্রাতা।
ভিভিএস লক্ষ্মণ থেকে শুরু করে কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকার পর্যন্ত বলছেন অনিল কুম্বলের পর অশ্বিন টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের সেরা ম্যাচ উইনিং বোলার। একজন ব্যাটসম্যানকে কিভাবে বোকা বানানো যায়, সেটা ভবিষ্যতের স্পিনারদের অশ্বিনকে দেখে শেখা উচিত। ফ্লাইট, লুপ, বাউন্স, ক্যারম বল - কখন কিভাবে ব্যবহার করা উচিত, আদর্শ উদাহরণ অশ্বিন।
আর বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে তিনি বিশ্বের সেরা স্পিনার। অশ্বিন আড়াই লক্ষ টাকার চেক নিয়ে জানালেন, কানপুরের তুলনায় মুম্বইয়ের উইকেট থেকে স্পিনারদের একটু বেশি সুবিধা হয়েছিল। অতীতে ওয়াংখেড়েতে খেলার অভিজ্ঞতায় জানতেন সঠিক জায়গায় সিম ফেলতে পারলে সাফল্য আসবে। নিজের সাফল্যের পাশাপাশি না অক্ষর প্যাটেল ( Axar Patel) এবং জয়ন্ত যাদবকে ( Jayant Yadav) সফল হতে দেখে খুশি অশ্বিন।
পাশাপাশি ঢালাও প্রশংসা করলেন নিউজিল্যান্ড স্পিনার, এক ইনিংসে দশ উইকেট নিয়ে ইতিহাস তৈরি করা আজাজ প্যাটেলের। দলের কাজে লাগতে পারে এমন পারফর্ম করার চেষ্টা করেন বরাবর। বলের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও নিজের ক্ষমতা দেখিয়েছেন। অশ্বিন সামনে তাকিয়ে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য।
অতীতে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট জিতলেও, ভারত সিরিজ জিততে পারেনি। তাই এবার টিম ইন্ডিয়ার একমাত্র লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ ( South Africa series) জয়। অশ্বিন জানেন সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে তার কাছে অনেক প্রত্যাশা। অভিজ্ঞতায় এবং যোগ্যতায় তিনি দলের অন্যতম সেরা ভরসা। বিরাট কোহলি বুঝে গিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড় জমানায় অশ্বিন ভারতের টেস্ট মানচিত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
রবি শাস্ত্রী সময় যেটা সম্ভব ছিল, এখন সেটা সম্ভব নাও হতে পারে। তাছাড়া বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও বিশ্বাস করেন অশ্বিন চোট না পেলে, তাঁকে টেস্টে বাইরে রাখার মানে হয় না। সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডে একটিও টেস্ট না খেলিয়ে দেশে ফিরে আসার জবাব মুখে নয়, পারফর্ম করে দিলেন অশ্বিন।