ইংল্যান্ডের পেস, বাউন্স ও সুইং সহায়ক উইকেটে বরাবর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে ভাপতীয় দলকে। এখানে এক-একটি মাঠের উইকেটের চরিত্র ভিন্ন হয়ে থাকে। ফলে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ারও কাজটা করতে হবে ইংল্যান্ড সফরে প্রথমবার আসা ভারতের একাধিক ব্যাটারকে। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রতিটি মাঠে ভারতের রেকর্ড কেমন চলুন দেখা নেওয়া যাক।
advertisement
সিরিজ শুরু হবে ২০ জুন হেডিংলি, লিডস-এ। এই মাঠে ভারত এখন পর্যন্ত ৭টি টেস্টে খেলেছে, যেখানে জয় এসেছে মাত্র ২ বার—১৯৮৬ ও ২০০২ সালে। তবে ২০২১ সালের সর্বশেষ সফরে ইনিংস ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল তারা। উত্তরের পিচ হওয়ায় এখানে সুইং বোলিং বেশি কার্যকর। ২ জুলাই দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে এজবাস্টনে, যেখানে ভারত আজ পর্যন্ত একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। আট ম্যাচে মাত্র একটিই ড্র হয়েছে।
এরপর ১০ জুলাই শুরু হবে তৃতীয় টেস্ট ক্রিকেটের ‘মক্কা’ লর্ডস-এ। এখানেই ১৯৩২ সালে ভারতের টেস্ট যাত্রা শুরু হয়। ২০টি ম্যাচে ভারত জয় পেয়েছে তিনবার—১৯৮৬, ২০১৪ ও ২০২১ সালে। ২৩ জুলাই চতুর্থ টেস্ট হবে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ম্যানচেস্টারে। এখানে ৯ ম্যাচে ভারত কোনও জয় পায়নি, যদিও ৫টি ড্র হয়েছে। উত্তরের কন্ডিশন এখানেও, তাই সুইং ও বাউন্স বোলারদের পক্ষে থাকবে। শেষ টেস্ট ৩১ জুলাই শুরু হবে দ্য ওভাল, লন্ডনে। এখানে ভারতের রেকর্ড কিছুটা ভালো—১৬ ম্যাচে ২টি জয় ও ৮টি ড্র। ১৯৭১ সালে এখানেই ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতের প্রথম জয় এসেছিল।
সিরিজজুড়ে প্রতিটি মাঠেই থাকবে ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। উত্তরের মাঠগুলো পেসারদের পক্ষে, আর দক্ষিণের মাঠগুলোতে ব্যাটিং সহজ হলেও শেষ দিকে স্পিনারদের জন্য সুযোগ থাকে। ঐতিহাসিক দিক থেকে ভারত কিছু মাঠে সফল হলেও কিছু জায়গায় এখনও জয় অধরা। ভারতীয় দলের জন্য এটি হবে নিজেদের পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়ার সুযোগ।