বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক আরও জানিয়েছেন, হাইভোল্টেজ এই ম্যাচ যেমন নতুন তারকার জন্ম দেয়, তেমনই এক ঝটকায় মাটিতে আছড়ে ফেলে রথী-মহারথীদেরও। চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই রবিবার মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান। স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে দুই শিবিরে। চলছে চাপান-উতোর। মহা ম্যাচের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে দুই দেশের প্রাক্তনীদের মধ্যেও।
advertisement
যেমন কপিল দেব এদিন নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এই ম্যাচ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই উন্মাদনার শেষ কথা। এই ম্যাচে যে দল স্নায়ুর চাপ সামলে সেরাটা মেলে ধরতে সক্ষম হবে, তারাই বাজিমাত করবে। এক্ষেত্রে ভারতীয় দল একচ্ছত্র দাপট দেখিয়েছে বিশ্বকাপের মঞ্চে। আর সেই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে চাপ সামাল দেওয়ার ক্ষমতা। মোদ্দা কথা, খোলা মনে ম্যাচ উপভোগ করতে হবে। আর যারা অতিরিক্ত চাপের বোঝা কাঁধে তুলে নেবে তারা পড়বে বিপদে।’
কপিলের এই মন্তব্য যে ভুল নয়, তা অতীতের পরিসংখ্যানে চোখ রাখলেই বোঝা যাবে। ওয়ান ডে এবং টি-২০ বিশ্বকাপ মিলিয়ে মোট ১২ বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। প্রতিবারই শেষ হাসি হেসেছে টিম ইন্ডিয়া। যার মধ্যে ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণে দু’বারের সাক্ষাতেই পাকিস্তানকে বশ মানিয়েছিল ধোনি-ব্রিগেড। তাই এবারের আসরেও কোহলিদেরই এগিয়ে রাখছেন ‘হরিয়ানার হ্যারিকেন’।
একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারের উপস্থিতিতে আগামী শনিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ভারত। তেমনই আবার দলে রয়েছে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, যশপ্রীত বুমরাহর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাও। কপিলের মতে, ইশান কিষাণ-সূর্যকুমার যাদবের মতো তরুণদের সামনে সুযোগ থাকবে, নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার।
এই প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ভালো পারফর্ম করতে পারলেই রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠার সুযোগ থাকে। একই সঙ্গে প্রত্যাশার চাপ থাকে সিনিয়র ক্রিকেটাদের উপর। আর তা পূরণে ব্যর্থ হলেই জুটবে তীব্র সমালোচনা। আকাশ থেকে নিমেষে নেমে আসতে হবে মাটিতে। তাই ভারতীয় ক্রিকেটারদের উচিত এবারও কোনও রকম চাপে না ভুগে স্বাভাবিক ক্রিকেট মেলে ধরা।’ নিজে এই ম্যাচ একাধিক খেলেছেন। ফলে জানেন বেশি চাপে পড়ে গেলে, বা বেশি উত্তেজিত হয়ে গেলে সেটা দলের পক্ষে ক্ষতিকর। তিনি নিশ্চিত বড় ম্যাচের চাপ নেওয়ার ক্ষমতা বাবরদের তুলনায় বিরাটদের বেশি।