শুক্রবার পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। রশিদ খান, মহম্মদ নবিরাও জয় দিয়ে অভিযান শুরু করেছেন। তাঁরা হারিয়েছেন তুলনায় দুর্বল স্কটল্যান্ডকে। তবে খাতায় কমলে এই ম্যাচে এগিয়ে পাকিস্তানই। পরিসংখ্যান বলছে, সাদা বলের লড়াইয়ে পাঁচবারের সাক্ষাৎকারে কখনও হারেনি জিন্নার দেশ। এই ম্যাচ জিতলে সেমি-ফাইনালের টিকিট কার্যত পাকা করে ফেলবে পাকিস্তান। কারণ, বাবর আজমদের বাকি দু’টি ম্যাচ খেলতে হবে স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার বিরুদ্ধে। এই মুহূর্তে পাক দলটি যেরকম ছন্দে রয়েছে, তাতে মনে হয় না আফগানদের হারাতে খুব বেশি বেগ পেতে হবে তাদের।
advertisement
তবে খেলাটার নাম ক্রিকেট। ফরম্যাট যখন টি-২০, তখন অনেক কিছুই ঘটতে পারে। তাই বাবর আজমরা পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থেকেও বেশ সতর্ক। দলে খুব বেশি পরিবর্তন হয়তো করতে চাইবে না পাক টিম ম্যানেজমেন্ট। চোট সমস্যাও নেই। তাই পুরো শক্তি নিয়েই জয়ের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে ২০০৯-এর চ্যাম্পিয়নরা।
আফগানিস্তান এই গ্রুপে ‘ডার্ক হর্স’। খেলা যেহেতু মরুদেশে হচ্ছে, তাই স্পিনাররা কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধা আদায় করে নিচ্ছেন। সেই নিরিখে রশিদ খান ও মুজিব-উর-রহমানের মতো স্পিনারের উপর নজর রাখতেই হবে। গত ম্যাচে তাঁরা বিপক্ষের ন’টি উইকেট ভাগ করে নিয়েছিলেন।
আফগানিস্তানের ব্যাটিং খুব শক্তিশালী না হলেও একেবারে হেলাফেলা করার মতো নয়। হজরতুল্লাহ জাজাই, মহম্মদ শাহজাদ, গুরবাজ ও নাজিবুল্লাহরা রানের মধ্যে আছেন। তবে পাক বোলারদের বিরুদ্ধে হবে তাঁদের আসল পরীক্ষা। পাকিস্তান খাতায় কলমে যতই শক্তিশালী হোক, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বরাবর কঠিন লড়াই হয়েছে। এমনিতে এই ম্যাচ শুধু খেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, আফগানিস্তানের বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন পাকিস্তান তাদের দেশের অবস্থার জন্য দায়ী। তাই আজ লড়াইটা আফগানদের সম্মানের। পাকিস্তানের পক্ষে মোটেই সহজ নয়।
ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা ৭-৩০ মিনিটে। স্টার স্পোর্টসে