আরও পড়ুন - Bashir Chacha on Dhoni : ধোনিই পর্দার আড়াল থেকে বিশ্বকাপ জেতাবে ভারতকে, বলছেন বশির চাচা
পাশাপাশি পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে তৈরি করা কতটা কঠিন ছিল তা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। ২০১৭ সালের নিলামে প্রথমবারের মতো আইপিএলে নাম ওঠে রশিদ খানের। আইপিএলে প্রথমবার তাঁকে ৪ কোটি টাকায় কিনে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সে নিলামের পর রশিদ বলেছিলেন, এত টাকা দিয়ে কী করবেন, এ ব্যাপারে তাঁর কোনো ধারণাই নেই! সেই রশিদ খান গত চার বছরে বিশ্বের প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেই দেখা দিয়েছেন।
advertisement
জাতীয় দলের হয়ে সব সংস্করণে খেলার পাশাপাশি এত এত লিগে খেলছেন; সেটাও ভ্রমণক্লান্তিকে পাত্তা না দিয়ে। এর পেছনের রহস্যটা জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর কাছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ধকল নিতে গিয়ে নিজের মানসিকতা যে বদলে ফেলতে হয়েছে, সেটাই জানিয়েছেন রশিদ, ২০১৭ সালের আগে, আমার প্রথম আইপিএলের আগে আমার ধারাবাহিকতা ছিল না। এর পেছনে আমার ফিটনেসই দায়ী। কয়েকটা ম্যাচ খেলার পরই পরের ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুত ছিল না আমার শরীর। এ কারণেই ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে পারছিলাম না।
কিন্তু ২০১৭ আইপিএলের পর আমি দেখলাম কীভাবে খেলোয়াড়েরা নিজের যত্ন নিচ্ছেন। এর আগে আমি জিমে যেতাম না বললেই চলে। আফগানিস্তান থেকে এসেছি, যেখানে এমন সুযোগ-সুবিধা নেই, তাহলে ফিটনেস কতটা গুরুত্বপূর্ণ, আপনি বুঝবেন কীভাবে। সেখানে ফিটনেসের চেয়ে ক্রিকেটই বেশি গুরুত্ব পায়।’ নিজের খাবারের প্লেট থেকে প্রিয় কিছু বস্তু সরিয়ে দিয়েছেন, আমি একসময় অনেক অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতাম, যেমন বিরিয়ানি, রুটি, মিষ্টি। ২০১৭ আইপিএলের পর থেকে সব বাদ দিয়েছি। এখন মূলত বারবিকিউ বা গ্রিল করা খাবার খাই, সঙ্গে সালাদ থাকে।
আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যদি সেরা হতে চাই এবং নিজের দক্ষতার উন্নতি করতে চাই, আমাকে আরও ফিট হতে হবে। বিরিয়ানি অবশ্যই মিস করেন। কিন্তু এতদিন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলে শিক্ষা পেয়েছেন কিছু পেতে গেলে, কিছু ছাড়তে হয়। যখন অফ সিজন থাকে, তখন বিরিয়ানি খান জমিয়ে। কিন্তু সেই অনুপাতে ক্যালরি বার্ন করেন জিমে। আধুনিক ক্রিকেটে স্কিল শেষ কথা নয়। ফিটনেস ছাড়া সাফল্য অসম্ভব বলছেন রশিদ খান।