আইপিএলের জন্য এক মাস ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলার অভিজ্ঞতা ভালোমতোই নেওয়া হয়ে গেছে তাঁর। আর সে অভিজ্ঞতা বলছে, শারজা, আবুধাবি ও দুবাইয়ে স্পিন ছাড়া গতি নেই। ওমান ও আরব আমিরাতে হওয়া বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের বাকি তিন ম্যাচেই স্পিনাররা রাজত্ব করেছেন। প্রথম ম্যাচে ওমানের অধিনায়ক জিশান মাকসুদ এক ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন, হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
advertisement
পরের ম্যাচে বাংলাদেশের দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান ৮ ওভারে মাত্র ৩৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট পেয়েছেন। আর তাঁদের টেক্কা দিয়েছেন স্কটিশ লেগ স্পিনার ক্রিস গ্রিভস। রশিদ খানের কথা সত্যি হয়ে থাকলে এটা কেবল শুরু। ক্রিকেটভিত্তিক মাসিক পত্রিকা ক্রিকেট মান্থলিকে বলেছেন, ‘এখানকার উইকেট বরাবরই স্পিনারদের সাহায্য করে এবং এটা স্পিনারদের বিশ্বকাপ হওয়া উচিত। উইকেট কীভাবে বানানো হয়েছে, তাতে কিছু যায়–আসে না। এখানে স্পিনাররা সব সময় সাহায্য পান। এই বিশ্বকাপে স্পিনাররা খুবই বড় ভূমিকা পালন করবে। আইপিএলে যেমন দেখেছি, স্পিনাররা তাদের দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে বিশ্বকাপেও তা–ই হবে। সেরা স্পিনাররা তাদের দলকে খেলায় ফিরিয়ে আনবে এবং জেতাবে।’
২০২০ ও ২০২১ আইপিএলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের তিন ভেন্যুতেই স্পিনাররা রান আটকানোয় দারুণ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছেন। আর উইকেট তুলে নেওয়ার ব্যাপারেও কম যাননি। দুবাইয়ে ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ উইকেট পেয়েছেন স্পিনাররা, শারজায় সেটি ৩০ দশমিক ১ শতাংশ। আর আবুধাবিতেই স্পিনাররা সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছেন। ৩২ দশমিক ১ শতাংশ উইকেট পেয়েছেন সেখানে স্পিনাররা। ভারতের হাতে রাহুল চাহার, রবি অশ্বিন, বরুণ চক্রবর্তী রয়েছেন। রবীন্দ্র জাদেজা রয়েছেন। তাই স্পিন বিভাগে ভারত টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী দল।