জাহানারা আলম দাবি করেছিলেন, বেশ কয়েকজন জুনিয়র খেলোয়াড় তাকে ফোন করে জানিয়েছেন যে নিগার সুলতানা নাকি তাঁদের ওপর শারীরিক আক্রমণ করেছেন। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সুলতানা। ডেইলি ক্রিকেট-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি কেন সতীর্থদের মারব? আমি কেন ব্যাটের আঘাতে স্টাম্প ভাঙব? আমি কি হরমনপ্রীত, যে স্টাম্প ভেঙে বেড়াব? আমি কি হরমনপ্রীত, যে সতীর্থদের মারব?”
advertisement
নিগার সুলতানার দাবি, ব্যক্তিগতভাবে রাগ হলে তিনি নিজের ব্যাট বা হেলমেটে আঘাত করতে পারেন, কিন্তু কোনো খেলোয়াড়ের প্রতি শারীরিকভাবে আক্রমণাত্মক হওয়ার প্রশ্নই আসে না। অভিযোগকারীদের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সুলতানা। জাহানারা বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন উল্লেখ করে তিনি বলেন,”দলে এত ম্যানেজমেন্ট, ম্যানেজার, কোচিং স্টাফ থাকা সত্ত্বেও খেলোয়াড়রা বিদেশে থাকা একজন প্রাক্তন সহখেলোয়াড়কে ফোন করবে—এটি বাস্তবসম্মত নয়।” তাঁর মতে, কেউ যদি সত্যিই সমস্যায় পড়ত, তাহলে দলের মধ্যেই অভিযোগ করার উপযুক্ত জায়গা ছিল।
নিগার সুলতানা আরও বলেন, “যেভাবে আমাকে অভিযপক্ত করা হচ্ছে, আমি সেরকম মেয়ে নই।” তিনি মনে করেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে গল্প ছড়ানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ মনগড়া। তিনি পুনরায় প্রশ্ন তোলেন—“যদি আমি কাউকে মারতাম, তাহলে এতদিনে কি কেউ কিছু বলত না? দলের কারও কাছে কি তা পৌঁছত না?”
আরও পড়ুনঃ IND vs SA: পিচ নিয়ে তুমুল বিতর্ক! ইডেনে মুখোমুখি গৌতম গম্ভীর ও সুজন মুখোপাধ্যায়, তারপর….
এই বিতর্কে এখন বাংলাদেশ দল দুই শিবির বিভক্ত। জাহানারার দাবি সত্য নাকি সুলতানার বক্তব্যের ওপর ভরসা রাখবে দল—তা নিয়ে চলছে আলোচনা। কিন্তু তাদের সমস্যার মধ্যে কেন হরমনপ্রীত কউরকে টেনে আনলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি হরমনপ্রীত কউরের।
