হায়দারাবাদ এফসি -০
গড়ে ৩-২ জয়ী হায়দারাবাদ
#গোয়া: টেস্ট ক্রিকেটে ম্যাচ জিততে গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেমন প্রথম ইনিংসে বড় রান করা অ্যাডভান্টেজ, তেমনই নকআউট পর্যায় ফুটবলে দুই লেগের লড়াইয়ে যে দল প্রথম সাক্ষাতে জিতে থাকে, তাদের পকেটেই থাকে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ। যেমন হায়দারাবাদ এফসি বনাম এটিকে মোহনবাগান লড়াইয়ে প্রথম লেগে ৩-১ জিতে থাকায় অ্যাডভান্টেজ ছিল হায়দারাবাদ। কাজটা প্রচন্ড কঠিন ছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে।
advertisement
আইএসএল ফাইনালে যেতে হলে ৩-০ গোলে জিততে হত। কমপক্ষে ম্যাচ অতিরিক্ত সময় নিয়ে যেতে হলে নব্বই মিনিটের মধ্যে দুটো গোল করতে হত। ৩-৫-২ আক্রমনাত্মক ছকেই দল সাজিয়েছিলেন হুয়ান। প্রথম থেকে প্রচুর সুযোগ তৈরি করে মোহনবাগান। লিস্টন, বুমু, জনি, কৃষ্ণ - একাধিক আক্রমণ তুলে আনছিলেন। কিন্তু বক্সের মধ্যে কিছুতেই কাজের কাজ হচ্ছিল না।
আজ তিরি ছিলেন না। ডেভিড উইলিয়ামস ছিলেন রিজার্ভ বেঞ্চে। ফুটবলে সুযোগ পাওয়া এক ব্যাপার। গোল করা অন্য ব্যাপার। যেখানে তিন গোলে জেতার কথা সেখানে প্রথমার্ধে অন্তত একটি গোল না করতে পারা দেখেই মনে হয়েছিল মিরাকল ঘটানো সম্ভব নয় সবুজ মেরুন দলের পক্ষে। যত সময় যাচ্ছিল এটিকে মোহনবাগানের আশা কমে যাচ্ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধে প্রবীর দাসের ক্রস থেকে রয় কৃষ্ণর ফ্লিক দুর্দান্ত দক্ষতায় সেভ ফরেন হায়দারাবাদ গোলরক্ষক। জনি কাউকোকে ফাউল করা হলে পেনাল্টি দাবি জানায় এটিকে মোহনবাগান। তবে পেনাল্টি ছিল না। ৭০ মিনিটে মানবীরকে নামানো হয় গতি বাড়ানোর জন্য। কিন্তু তাতেও লাভের লাভ হল না। হায়দারাবাদ ডিফেন্সে হুয়ানান, সানা, আকাশ, নিম দুর্ধর্ষ লড়াই করলেন।
এটিকে মোহনবাগানের শক্তিশালী আক্রমণভাগ তিন গোল দূরে থাক, একটি গোলও করতে পারছিল না। প্রথমবার আইএসএল ইতিহাসে ফাইনালে যাওয়ার মুখে ছিল হায়দারাবাদ। অবশেষে ৭৯ মিনিটে লিস্টনের ক্রস থেকে একটি গোল করেন রয় কৃষ্ণ। এরপর নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ৭ মিনিট সময় দিলেও গোল করতে পারেনি সবুজ মেরুন। গতবার ফাইনালে গিয়ে হার। এবার সেমিফাইনাল থেকে বিদায়। দুঃখ পাওয়াটা স্বাভাবিক মোহনবাগান সমর্থকদের।ম্যাচের সেরা হায়দ্রাবাদ গোলরক্ষক কটিমনি।