৮৩ মিনিটের মাথায় ১-২ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় কেন যদি পেনাল্টি থেকে গোলটা করতে পারতেন তাহলে ম্যাচের ক্লাইম্যাক্স আরও আকর্ষণীয় হতে পারত। ক্লাব দলের সতীর্থ গোলরক্ষক হুগো লরিসের বিরুদ্ধে প্রথম পেনাল্টিতে গোল করলেও দ্বিতীয়টা বড়লোকের বাউন্ডুলে ছেলের মত হেলায় নষ্ট করলেন ব্রিটিশ অধিনায়ক। নায়ক বনে যাওয়ার ম্যাচে খেলা শেষে তিনিই খলনায়ক। ফের একবার গায়ে সেঁটে থাকা চোকর্স তকমা পরিত্যাগ করতে ব্যর্থ ইংল্যান্ড। ২-১ গোলে ফ্রান্সের জেতার পেছনে অন্যতম কারণ সুযোগের সদ্ব্যবহার আর ফরাসিদের দৃঢ় মনোভাব।
advertisement
আরও পড়ুন - কাঁদছেন রোনাল্ডো, যে ছবি আজ গোটা পৃথিবীতে হয়তো কেউ দেখতে চাননি!
ম্যাচের প্রথমার্ধে ২৫ মিটার দূর থেকে চুয়ামেনির দুরন্ত শটে গোল ছাড়া ইংল্যান্ডের সমতা ফেরানোর পরে চাপের মুখে বিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাঁধে নিয়ে অলিভার জিরুর অসামান্য হেড। এই দুটোতেই ফ্রান্সের পক্ষে স্কোর লাইন ২-১। এদিন দোহার সবুজ ঘাসে ফরাসিদের রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে শুধুই জয় নয়, লেখা প্রতিশোধের নয়া ইতিহাস। বিশ্বকাপে এই প্রথম ইংল্যান্ডকে হারাল ফ্রান্স। বিগত দুই সাক্ষাতেই থ্রি লায়ন্সের কাছে পরাস্ত হয়েছিল ফরাসিরা। এবার চাকা নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে দাপট দেখাল গতবারের বিশ্বজয়ীরা।
আরও পড়ুন - ব্রা পরে কাতারে ইংল্যান্ডের অ্যাডাল্ট স্টার, নেট দুনিয়ায় ঝড় তুলেছে একের পর এক ছবি
চার বছর আগে বিশ্বকাপ জিতে যেখানে যাত্রা শেষ করেছিলেন ফরাসিরা। কাতারে এসে ঠিক তারপর থেকেই যাত্রা যেন শুরু করেছেন দিদিয়ের দেশঁ-র ছেলেরা। টুর্নামেন্টের একেকটা করে ম্যাচ যত এগোচ্ছে, ফ্রান্সকে ততো অশ্বমেধের ঘোড়া মনে হতে শুরু করেছে। চোটের জন্য বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন বেঞ্জেমা, পোগবা, কন্তেরা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল তাহলে কী কাতারে বিপাকে পড়বে ফ্রান্স! তবে প্রথম একাদশের তিন চার জন তারকাকে ছাড়াই ফ্রান্স যে ফুটবল খেলছে তাতে সব প্রশ্নের উত্তর মিলছে সহজেই। ফ্রান্সের রিজার্ভ বেঞ্চ তৈরি। তাই দিদিয়ের দেশঁর ছেলেদের আটকানো ‘‘মুশকিল নেহি, না মুমকিন হে।’’
এমবাপে, গ্রিজম্যানরা প্রতি মুহূর্তে যেভাবে নিজেদের প্রমাণ করছেন তাতে বোঝেই যাচ্ছে সোনালি ট্রফিটা আরও ৪ বছর ঘরে রেখে দিতে তৈরি ফরাসি ব্রিগেড। বিশ্বকাপ ট্রফি আর "টিম ফ্রান্স" এর মধ্যে তফাৎ মাত্র দুটো হার্ডেলসের। টপকাতে পারলেই আরও একবার ইতিহাসের পাতায় ফুটবল মাঠে ফরাসি বিপ্লবের জয় গাঁথা জায়গা করে নেবে।
ERON ROY BURMAN