রেফারি হামিরা আনসারি এই বিষয়ে জানান, “সব থেকে বড় কথা হল আমাদের আইএফএ রেফারি অর্জুন হালদার ছিলেন, আরও ন্যাশনাল বড় বড় রেফারিরা ছিলেন। সেখানে আমার মতো একজন ছোটখাটো মেয়েকে ওখানে ডেকে সম্মান জানানো হল। আমার জন্য ভীষণ বড়ো অ্যাচিভমেন্ট এটা। সেটার জন্য আমার গ্রামের লোক, বাবা-মা, আমার স্যার খুব গর্বিত। এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো।”
advertisement
ছোটবেলা থেকেই মাঠের প্রতি এক আলাদা টান রয়েছে তাঁর। ছোট থেকেই মাঠে গিয়ে অন্যের খেলা দেখতেন তিনি। ইচ্ছে ছিল নিজেও কোনও একদিন অংশগ্রহণ করবেন। জীবনের অনেকটা সময় তিনি কাটিয়েছেন ফুটবল খেলে। একটা সময় তিনি ফুটবল খেলাকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তার সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। খেলা বন্ধ হলেও ফুটবল ছাড়তে তিনি রাজি ছিলেন না। সেই সময় কোচ বিনয় রায়ের উপদেশে তিনি ফুটবল রেফারি হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। এরপর নানা চড়াই উৎরাই এর মধ্য দিয়ে তিনি আজ হয়ে উঠেছেন রাজ্যের একজন স্বনামধন্য মহিলা ফুটবল রেফারি। অবশ্যই এই সাফল্য পিছনে বেশিরভাগ কৃতিত্ব তিনি দিয়েছেন কোচ বিনয় রায়কে। হামিরা এই বিষয়ে আরও বলেন, “সবথেকে বড় কৃতিত্ব আমার স্যার বিনয় রায়ের। তিনি না থাকলে এত কিছু হত না।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শুধু রাজ্য নয়, দেশ তথা আন্তর্জাতিক ম্যাচেও রেফারি করার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছেন হামিরা। গুসকরার আলুটিয়া মতো প্রত্যন্ত এলাকায় বড়ো হয়ে ওঠা। এক সময় ফুটবল খেলার জন্য নানা কটাক্ষ, প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাকে। এমনকি রক্ষণশীল পরিবার হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও রীতিমতো লড়াই করে এগিয়ে যেতে হয়েছে নিজের লক্ষ্যের দিকে। আজ সেই হামিরা সাফল্যে গর্বিত পরিবার-সহ এলাকার বাসিন্দারা। তারই সাফল্য শুধু গর্বের নয় লক্ষ লক্ষ মহিলার জন্য অনুপ্রেরণা। যা তাদের সাহস জোগাবে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যেতে।





