TRENDING:

Inspiring Story: ২২ বছর বয়সেই IFA সম্মান! বাংলার গর্ব হামিরা, আলুটিয়ার মেয়ের সাফল্য হাজার হাজার মহিলাদের অনুপ্রেরণা

Last Updated:

East Bardhaman Inspiring Story: গ্রামের মেঠো পথ পেরিয়ে ফুটবলের ময়দানে সাফল্যের স্বাদ। হাজারও বাধা পেরিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তাবড় তাবড় রেফারিদের মাঝে নিজের। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান, বনোয়ারীলাল চৌধুরী: গ্রামের মেঠো পথ পেরিয়ে ফুটবলের ময়দানে সাফল্যের স্বাদ। হাজারও বাধা পেরিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তাবড় তাবড় রেফারিদের মাঝে নিজের। পূর্ব বর্ধমানের এই তরুণী জিতে নিয়েছেন মহিলা ফুটবল রেফারি হিসেবে বিশেষ পরিচিতিও। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার একটি প্রত্যন্ত এলাকা আলুটিয়ার বাসিন্দা, বছর ২২ এর হামিরা আনসারি। গত ১৬ নভেম্বর, কলকাতার টাউন হলে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে আইএফএ, পশ্চিমবঙ্গের পক্ষ থেকে তাঁকে মহিলা বিভাগের সেরা সহকারী রেফারি সম্মানে ভূষিত করেছে। পূর্ব বর্ধমানের একটি ছোট্ট গ্রামের মেয়ে হামিরা আজ অনুপ্রাণিত করছেন বহু মেয়েকে।
advertisement

রেফারি হামিরা আনসারি এই বিষয়ে জানান, “সব থেকে বড় কথা হল আমাদের আইএফএ রেফারি অর্জুন হালদার ছিলেন, আরও ন্যাশনাল বড় বড় রেফারিরা ছিলেন। সেখানে আমার মতো একজন ছোটখাটো মেয়েকে ওখানে ডেকে সম্মান জানানো হল। আমার জন্য ভীষণ বড়ো অ্যাচিভমেন্ট এটা। সেটার জন্য আমার গ্রামের লোক, বাবা-মা, আমার স্যার খুব গর্বিত। এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো।”

advertisement

আরও পড়ুন: কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পেতে ভয়ঙ্কর কারচুপি! জীবিতকে মৃত বানিয়ে টাকা হাতানোর প্ল্যান, ভেস্তে দিল হাইকোর্ট

ছোটবেলা থেকেই মাঠের প্রতি‌ এক আলাদা টান রয়েছে তাঁর। ছোট থেকেই মাঠে গিয়ে অন্যের খেলা দেখতেন তিনি। ইচ্ছে ছিল নিজেও কোনও একদিন অংশগ্রহণ করবেন। জীবনের অনেকটা সময় তিনি কাটিয়েছেন ফুটবল খেলে। একটা সময় তিনি ফুটবল খেলাকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তার সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। খেলা বন্ধ হলেও ফুটবল ছাড়তে তিনি রাজি ছিলেন না। সেই সময় কোচ বিনয় রায়ের উপদেশে তিনি ফুটবল রেফারি হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। এরপর নানা চড়াই উৎরাই এর মধ্য দিয়ে তিনি আজ হয়ে উঠেছেন রাজ্যের একজন স্বনামধন্য মহিলা ফুটবল রেফারি। অবশ্যই এই সাফল্য পিছনে বেশিরভাগ কৃতিত্ব তিনি দিয়েছেন কোচ বিনয় রায়কে। হামিরা এই বিষয়ে আরও বলেন, “সবথেকে বড় কৃতিত্ব আমার স্যার বিনয় রায়ের। তিনি না থাকলে এত কিছু হত না।”

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
সকলের প্রিয় নলেন গুড়েই বাসা বাঁধছে মারণ রোগ! হারাচ্ছে স্বাদ ও সুবাস
আরও দেখুন

শুধু রাজ্য নয়, দেশ তথা আন্তর্জাতিক ম্যাচেও রেফারি করার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছেন হামিরা। গুসকরার আলুটিয়া মতো প্রত্যন্ত এলাকায় বড়ো হয়ে ওঠা। এক সময় ফুটবল খেলার জন্য নানা কটাক্ষ, প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাকে। এমনকি রক্ষণশীল পরিবার হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও রীতিমতো লড়াই করে এগিয়ে যেতে হয়েছে নিজের লক্ষ্যের দিকে। আজ সেই হামিরা সাফল্যে গর্বিত পরিবার-সহ এলাকার বাসিন্দারা। তারই সাফল্য শুধু গর্বের নয় লক্ষ লক্ষ মহিলার জন্য অনুপ্রেরণা। যা তাদের সাহস জোগাবে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যেতে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
Inspiring Story: ২২ বছর বয়সেই IFA সম্মান! বাংলার গর্ব হামিরা, আলুটিয়ার মেয়ের সাফল্য হাজার হাজার মহিলাদের অনুপ্রেরণা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল