কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ম্যাচ জিতলে পরের রাউন্ডের দিকে এক পা যে এগিয়ে থাকবে তা জানত জুয়ান ফেরান্দোর দল। ম্যাচের শুরুতে দুই দলই বল ধরে খেলার চেষ্টা করেন। মাঝমাঠের দখল নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে বাগান। কিছু সময় খেলা গড়াতেই ম্যাচের রাশ ধীরে ধীরে নিজেদের হাতে নিতে শুরু করে মোহনবাঘান। খুব একটা আহামরি ফুটবল না খেলেলও পঞ্জাবকে চাপে রাখার কাজটা করে যাচ্ছিল লিস্টন, হুগো, মনবীররা। ২৩ মিনিটে আসে কাঙ্খিত গোল। তবে আত্মঘাতি।
advertisement
ডানপ্রান্ত থেকে ভালো পাস পান মনবীর। বক্সের মধ্যে ঢুকে আসেন। লাইনের ধারে নিজের শক্তির পরিচয় দেন। এগিয়ে আসেন পঞ্জাবের গোলকিপার। তাঁর ডানদিক থেকে শট বা ক্রসের চেষ্টা করেন মনবীর। কিন্তু বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে বৃষ্টির মাঠে পা পিছলে পড়ে যান পঞ্জাবের ডিফেন্ডার মেলরয়। নিজের জালেই বল জড়িয়ে দেন। এরপর প্রথমার্ধে দুই দলই বেশ কিছু আক্রমণ গড়ে তোলে। তবে আর গোলের মুখ খোলেনি। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি ফেরান্দোর দলকে। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে গোল করেন হুগো বুমোস। তবে এ গোলে অবদান কম নয় দিমিত্রি পেত্রাতোস এবং লিস্টন কোলাসোর। লিস্টনকে থ্রু দেন পেত্রাতোস। বাঁ-প্রান্তে গোললাইনের একেবারে ধার থেকে ক্রস লিস্টনের। সেই ক্রসের সামনে একেবারে দিশাহীন হয়ে পড়েন পঞ্জাবের গোলকিপর। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে একেবারে বুমোসের পায়ে দিয়ে দেন। ফলে সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি বুমোস।
আরও পড়ুনঃ Lionel Messi: ক্লাবে যোগ দিয়ে খেলেছেন মাত্র ৪ ম্যাচ, তাতেই ২০২৩-এ মায়ামির সর্বোচ্চ স্কোরার মেসি
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর একাধিক সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন বাগান প্লেয়াররা। গোল শোধ করার সুযোগও পেয়েছিল পঞ্জাব। কিন্তু বিশাল কেইথের কিছু অনবদ্য সেভ ও অন্যান্য সময় বাগানের রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ হয় পঞ্জাবের অ্যাটাকিং লাইন। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড।