এই স্কুলেই কেটেছে রিচার শৈশবের দিনগুলো। এখান থেকেই মাধ্যমিক পাশ করে নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের ভিত্তি গড়ে তোলেন তিনি। স্কুলের শিক্ষকরাও যেন আজ আবেগে ভেসে যাচ্ছেন। সহকারী শিক্ষক হেমন্ত নার্জিনারি জানালেন, “রিচা খুবই পরিশ্রমী ছিল। পড়াশোনায় ভালো, তবে খেলাধুলায় তার আলাদা এক মনোযোগ ছিল। আজ তার এই সাফল্যে আমরা সবাই গর্বিত।”
advertisement
স্কুলের আরেক শিক্ষক বিশ্বজিৎ রায় স্মৃতিচারণা করে বলেন, “রিচা একেবারে সাধারণ ছাত্রীদের মতোই ছিল। তবে খেলাধুলায় ছিল তার অসাধারণ প্রতিভা। তার বাবা মেয়ের জন্য নিরন্তর পরিশ্রম করেছেন। আজ সেই পরিশ্রমেরই ফল গোটা দেশ দেখছে।”
রিচা যখন প্রথম ভারতীয় দলে সুযোগ পায়, তখনও এই স্কুলই ছিল শিলিগুড়ির গর্বের কেন্দ্র। সেদিন স্কুলে হয়েছিল বিশাল শোভাযাত্রা, শ্রদ্ধা ও অভিনন্দনের বন্যা। আজ বিশ্বকাপের মুকুটে নাম লেখানোর পর সেই আনন্দ যেন আরও বেড়েছে বহুগুণে। স্কুলের করিডরে এখনো রিচার নাম শুনলেই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে শিক্ষকদের মুখ। বেঞ্চ, করিডর, খেলার মাঠ—সবই যেন বলে দেয়, এখান থেকেই শুরু হয়েছিল এক কিংবদন্তির গল্প।
আরও পড়ুন- মৃত বোনকে দেখতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক পরিণতি দিদির! রেললাইন পার করতে গিয়ে যা হল
বর্তমানে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রিচা ঘোষ যখন শিলিগুড়িতে ফিরবেন, তখন তার সম্মানে এক বিশাল সংবর্ধনা ও অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। শিক্ষার্থীদের মুখে এখন একটাই প্রশ্ন—“দিদি কবে ফিরছে?” স্কুলজুড়ে অপেক্ষার উত্তেজনা যেন চোখে পড়ার মতো। করিডর, মাঠ, শ্রেণিকক্ষ—সবখানেই আজ একটাই নাম, রিচা ঘোষ।
রিচা ঘোষ আজ ভারতের গর্ব, কিন্তু শিলিগুড়ির মার্গারেট স্কুলের কাছে সে এখনও “আমাদের রিচা”—যে মেয়েটি একদিন ক্রিকেট বল হাতে দেশের স্বপ্ন বুনেছিল স্কুলের মাঠে। আজ তার সেই স্বপ্ন বিশ্বজয়ের বাস্তব রূপ পেয়েছে।





