তারপরেই সেই বহু প্রতিক্ষীত মুহূর্ত, হাজার হাজার ঘণ্টার অনুশীলনের ফসল দেশকে গর্বিত করে দেওয়া সোনার মেডেল গলায় তিনি পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে৷ বেজে উঠল সোনা জয়ী অ্যাথলিটের দেশের জাতীয় সঙ্গীত৷ বেজে উঠল ‘‘জন গণ মন অধিনায়ক জয় হে৷ ’’
আবেগের সুর অচিন্ত্যের গলাতেও৷ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গাইতে তিনি দেখছিলেন নিজের দেশের জাতীয় পতাকা৷ তেরঙা পতাকা উঠছিল ৷ যেকোনও অ্যাথলিট এই গর্বের মুহূর্তের জন্য আজীবন অপেক্ষায় থাকে৷ সেই স্বপ্নের মুহূর্ত ২০ বছরেই পেয়ে গেলেন অচিন্ত্য৷
advertisement
আরও পড়ুন - Purba Bardhaman News: বিদ্যুত নেই কেন? প্রশ্ন তুলে বেধড়ক মারধর কর্মীদের, ভাঙচুর কিয়ক্সে
অচিন্ত্য হাওড়ার একটি গ্রাম থেকে উঠে আসা ছেলে৷ সেখানেই স্থানীয় জিমে যোগ দেন মাত্র ১২ বছর বয়সে৷ কিন্তু সেলাইয়ের কাজ তিনি ছাড়েননি৷ তাঁর দাদাও ভারোত্তলক ছিলেন৷ কিন্তু পরিবারের চাপে নিজের শখকে নিয়ে এগোতে পারেননি তিনি৷ অচিন্ত্যর দাদাও সেলাইয়ের কাজই করতেন৷
কমনওয়েলথে সোনা পাওয়ার পর অচিন্ত্য জানিয়েছেন জীবনটা খুবই কঠিন৷ তিনি জিমে যোগ দেওয়ার পর কাজ করা খুবই কঠিন ছিল তার চেয়েও কঠিন ছিল তিনবেলা ঠিক করে খাওয়ার যোগাড় করা৷ বাবা বেঁচে থাকতে তাঁর মাকে কাজ করতে হত না, কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর তাঁর মাকেও কাজ করতে শুরু করতে হয়৷
অচিন্ত্যের দাদাও ওয়েটলিফটিং ট্রেনিং করতেন৷ অচিন্ত্যের এই খেলায় আসা অবশ্য হঠাৎ৷ একদিন পাড়ায় ঘুড়ি ওড়ানোর সময় সেই ঘুড়ি কেটে জিমের সামনে পড়ে তারপরেই সেখানে অনেকের সঙ্গে নিজের দাদুকেও দেখতে পান তিনি৷ এরপরেই ভারোত্তলনের সঙ্গে ভালবাসায় পড়ে যায় অচিন্ত্য ৷ তারই ফল কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার পর এবার কমনওয়েলথ গেমসেও সোনা এনে দেশের পদক তালিকায় তৃতীয় সোনা যোগ করলেন বাংলার অচিন্ত্য৷