পাশাপাশি, লোকেশ রাহুল ও ঋষভ পন্থ আবার একধাপ ওঠার আশা করতেই পারেন। বিসিসিআই খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশ করতে পারে সেন্ট্রাল চুক্তিপত্রের তালিকা। সেখানে প্রধানত পূজারা-রাহানের অবস্থা নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। এই মুহূর্তে দু’জনেই রয়েছেন বাৎসরিক ৫ কোটি চুক্তির গ্রেড এ’তে। কিন্তু দু’জনের যা পারফরম্যান্স তাতে আরও এক বছর সেখানে থাকার কথা নয়। বোর্ডসূত্রে তেমন ইঙ্গিতই মিলছে।
advertisement
তবে বোর্ড ও প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় চাইলে হয়তো গ্রেড বি’তে না’ও নামতে হতে পারে দুই সিনিয়রকে। চুক্তিপত্রের একদম উপরে রয়েছে গ্রেড ‘এ প্লাস’। বাৎসরিক ৭ কোটি টাকার এই গ্রেডে আপাতত আছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও যশপ্রীত বুমরাহ। যাঁরা তিন ফরম্যাটেই নিয়মিত। লোকেশ ও পন্থ ক্রমশ তিন ফরম্যাটেই অপরিহার্য হয়ে উঠছেন। টেস্টে সম্ভাব্য অধিনায়কের দৌড়েও রয়েছেন দু’জনে। তাই তাঁদেরকে বিরাটদের সঙ্গে ‘এ প্লাস’ গ্রেডে আনার ভাবনা জোরালো।
সাধারণত এই সিদ্ধান্ত নেন বোর্ডের তিন পদাধিকারী, পাঁচ নির্বাচক ও প্রধান কোচ। যা আভাস, তাতে গতবারের তালিকায় থাকা ২৮ জনের মধ্যে বড়সড় কারও বাদ পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে পূজারা-রাহানের মতোই অনিশ্চিত দেখাচ্ছে ইশান্ত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়ার অবস্থানও। দু’জনে এখন রয়েছেন ‘এ’ গ্রেডে। কিন্তু গত মরশুম ধরে চোট-আঘাত ও ফর্মজনিত কারণে কেউই দলকে ভরসা দিতে পারেননি।
ফলে, বাৎসরিক ৩ কোটি টাকার ‘বি’ গ্রেডে দু’জনের নামার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। সুনীল গাভাসকার যিনি সাধারণত চেতেশ্বর পূজারা এবং রাহানেকে টেস্ট ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ মনে করেন, তিনি পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে গিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় এই দুজনের পারফরম্যান্স দেখে। ফলে সেন্ট্রাল চুক্তিতে এই দুজন নিচে নামলে কিছু বলার থাকবে না।